প্রতি কুড়ি মিনিট অন্তর হাত পরিষ্কার করলে করোনা সংক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে— বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নিদান সাধারণ মানুষকে বাধ্য করেছে স্যানিটাইজার ব্যবহারে।মাস তিনেক আগেও সাধারণ মধ্যবিত্তের পরিচিতির গণ্ডির বাইরেই ছিল এই উপাদানটি। হাতে-গোনা কয়েকটি নামী কোম্পানি স্যানিটাইজার তৈরি ও বিক্রি করত বটে, কিন্তু শুধুমাত্র হাসপাতাল, ক্লিনিক আর উচ্চবিত্তের ট্র্যাভেল কিটেই এর জায়গা ছিল। আর এখন সেই বস্তুটিই গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে সবার বিপদ তাড়ানোর একমাত্র সহায়। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অপরিহার্য তো বটেই, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর রুটিরুজির উপাদানও হয়ে উঠেছে এই স্যানিটাইজার। লিকুইড, জেল, স্প্রে— নানা রকমের স্যানিটাইজার বাজারে বিকোচ্ছে এখন। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাঁচা সবজি থেকে গাড়ি— সব কিছুর জন্যই আলাদা রকম স্যানিটাইজার তৈরি করছে।
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগগুলিও সাধারণ মানুষের জন্য স্যানিটাইজার তৈরি করে।
সম্প্রতি ইমামি ইন্ডিয়া, এমনকী ল্যরিয়ল, অ্যামওয়ে-র মতো বহুজাতিক সংস্থাও ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার বাজারে এনেছে।