এবার সরস্বতী মূর্তির হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার টাকির হোটেল থেকে বেরনোর সময় বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের হাতে থাকা সরস্বতী মূর্তির হাত পুলিশ ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। বুধবার সুকান্তবাবুর সন্দেশখালি যাত্রা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছিল টাকির ওই হোটেলের চারপাশে। সুকান্তবাবুকে আটকাতে হোটেল চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। যদিও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে ইছামতীর তীরে সরস্বতী পুজো করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভাতারে খাল পেরোতেই উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস, মৃত্যু ১, আহত ২৩
বুধবার রাতে বসিরহাট থানা থেকে ছাড়া পেয়েই টাকির হোটেলে চলে আসেন সুকান্ত মজুমদারসহ বিজেপি নেতারা। ওদিকে সুকান্তবাবু হোটেলে এসেছেন শুনেই হোটেল ঘিরে ফেলে পুলিশ। বেলা বাড়লে হোটেলের সামনের দরজা দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ ও ফাল্গুনী পাত্র। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিশের। এরই মধ্যে হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন সুকান্তবাবু। কোলে ছিল আরেকটি সরস্বতী মূর্তি। সেই মূর্তি ইছামতীর পাড়ে স্থাপন করে পূজা অর্চনা শুরু করেন তিনি। গোটা সময় তিনি ছিলেন অভূক্ত।
পুজো দিয়ে উঠে সুকান্তবাবু বলেন, ‘আমরা সরস্বতী আরাধনা করতে চেয়েছিলাম। আমাদের মহিলা নেত্রী সরস্বতীর মূর্তি নিয়ে হোটেলের মেইন গেট দিয়ে বেরোচ্ছিলেন। পুলিশ ধস্তাধস্তি করে সেই সরস্বতী মূর্তির হাত ভেঙে দেয়। আগে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সময় জামাতসহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনরা মায়ের মূর্তি ভাঙে। এখন দেখতে পাচ্ছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশও মায়ের মূর্তি ভাঙায় কাজে হাত দিয়েছে। শেখ শাহজাহানের লোক হয়ে কাজ করছে। মায়ের মূর্তি ভাঙা আমরা কোনও ভাবে মাফ করব না, বাংলার মানুষ কোনও ভাবে মাফ করবে না। এই পুলিশ বাংলার মহিলাদের সম্মান রক্ষা করতে পারে না। এই পুলিশকে আমরা ধিক্কার জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে হিন্দুবিরোধী রূপ আমরা দেখতে পেয়েছি। যে ভাবে গ্রামের মহিলারা দিনের পর দিন ধর্ষিতা হয়েছেন তার জবাব বাংলার মানুষ দেবে’।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, এবার কে গেলেন শ্রীঘরে?
এর পর নিজের গাড়িতে উঠে সন্দেশখালি রওনা দেওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্তবাবু। তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। তখন তিনি গাড়ির বনেটের ওপরে উঠে পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর পর গাড়ি থেকে নেমে ধাক্কাধাক্কিতে সংজ্ঞা হারান তিনি।