কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল কর্নাটকের কাবিনি রিজার্ভ ফরেস্টের ‘পাওয়ার কাপল’ ক্লিওপেট্রা আর সায়ার ছবি। ব্ল্যাক প্যান্থার সায়া আর চিতাবাঘ ক্লিওপেট্রার ছবি মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের। দুই বাঘের তীক্ষ্ণ চাউনিতে বুক কাঁপলেও নেটিজেনদের অনেকেই ক্লিওপেট্রা-সায়ার ছবি দেখে বলেছিলেন ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’। এ বার আরও একটি বিরল প্রজাতির চিতাবাঘের ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পুণের ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অভিষেক পাগোচিতা মহারাষ্ট্রের তাডোবা রিজার্ভ ফরেস্টে একটি কালোচিতাকে লেন্সবন্দি করেছেন অভিষেক। নিমেষেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই দৃশ্য। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে অভিষেক জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফ্রেমে ধরা পড়েছে এমন নিখুঁত শট।
জানা গিয়েছে, পুণে নিবাসী অভিষেকের এটাই ছিল প্রথম ওয়াইল্ডলাইফ ট্রিপ। আর বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে হাতেখড়ির প্রথম মুহূর্তই আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই তরুণ ফটোগ্রাফারের কাছে। অভিষেক জানিয়েছেন, মূলত বাঘের ছবি তুলবেন বলেই তাডোবা ফরেস্টে গিয়েছিলেন। সাফারির শেষদিনে লক্ষ্য ছিল চিতাবাঘের নানা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা। সেইজন্য সাধারণ বাঘ ছেড়ে চিতাবাঘে মন দিয়েছিলেন অভিষেক। অভিষেকের কথায়, ‘হরিণ এবং বাঁদরের শব্দে আগাম সতর্ক ছিলাম। বুঝেছিলাম আশেপাশে বাঘ বা চিতাবাঘ আছে। তারপর চলছিল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা। ঘণ্টা দুয়েক পর এই বিশেষ ধরনের কালো চিতাবাঘের দর্শন পাই। তারপর শুরু হয় আমার আসল কাজ।’ দ্রুত এই বিশেষ প্রজাতির চিতাবাঘের নানা মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন অভিষেক।
কাবিনির ‘পাওয়ার কাপল’-এর ছবি তুলেছিলেন বিখ্যাত ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার মিঠুন (এইচ)। ব্যাঙ্গালোরের মিঠুন জানিয়েছেন, গত বছর শীতকালে কাবিনিতে এই যুগলকে লেন্সবন্দি করেছিলেন তিনি। টানা ৬ দিন অপেক্ষা করার পর দর্শন দিয়েছিল ক্লিওপেট্রা এবং সায়া। তবে অপেক্ষা করা সার্থক হয়েছিল। মিঠুন জানিয়েছেন, এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ফ্রেমবন্দি করার জন্য ৬ দিন কেন, ছ’বছরও অপেক্ষা করতে পারেন তিনি। কারণ দীর্ঘ অপেক্ষার পর ওরা যখন দেখা দেয় সেই মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।