কোভিড সংক্রমণ রুখতে আঞ্চলিক লকডাউনে পথে হাঁটতে পারে রাজ্য। সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও এলাকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়লে অর্থাত্ পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ হলে এবং সেই এলাকায় হাসাপাতালে ৬০ শতাংশের বেশি শয্যা ভর্তি থাকলে ওই এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা যেতে পারে।
জেলাভিত্তিক, শহরভিত্তিক বা কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় সংক্রমণের গতিবিধি, সংক্রমিত হওয়ার হার ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, নির্দেশিকায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিশাল এলাকা জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করার আগে দেখে নিতে হবে ওই এলাকার জনসংখ্যার কত শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে, ভৌগলিক সীমানা জুড়ে কীভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং হাসপাতালের পরিকাঠামো কেমন। লকডাউন ঘোষণা আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত যেন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে, স্পষ্ট বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। কোনও এলাকাকে ‘কন্টেনমেন্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করার পর কী কী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে, তাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
• নাইট কার্ফু জারি করতে হবে। খুব প্রয়োজন না পড়লে রাতে চলাফেরা নিষিদ্ধ। কত দিন চলবে নাইট কার্ফু, তা সিদ্ধান্ত নেবে আঞ্চলিক প্রশাসন।
• ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, খেলা বা বিনোদন সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
• বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন এবং শ্রাদ্ধের কাজে সর্বাধিক ২০ জন উপস্থিত থাকতে পারে।
• শপিং মল, সিনেমাহল, রেস্তোরাঁ, বার, সুইমিং পুল, জিম, ধর্মীয় স্থান-সব বন্ধ থাকবে।
• শুধু জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দোকানপাট খোলা যেতে পারে।
• অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে পারে বাস, ট্রেন, মেট্রো, ট্যাক্সি।
• নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তঃরাজ্য এবং অন্তঃরাজ্য পরিবহনে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
• অর্ধেক কর্মী নিয়ে চলতে পারে অফিস।
• শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে পারে শিল্প সংস্থা এবং গবেষণাগার।