সময় যত গড়াচ্ছে ততই করোনার করাল থাবা থেকে মুক্ত হওয়ার পথে এগোচ্ছে রাজ্য। আগের দিনের তুলনায় আরও নিম্নমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৫২ জন। তবে দৈনিক মৃত্যু আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। টানা দ্বিতীয় দিন দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার বেশি হওয়ার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে। দৈনিক সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
রাজ্যে মাসাধিককাল ধরে কড়া বিধিনিষেধের ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। স্বস্তি দিয়ে সোমবারই দৈনিক সংক্রমণের গণ্ডি ২ হাজারের নিচে নেমে এসেছিল। এদিনও সেই স্বস্তি বজায় রইল। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ৫১ হাজার ২৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনাক্তের হার বা পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশে। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রাণঘাতী ভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন ১৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৩৮ জন। আগের দিনের তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেলেও দৈনিক মৃত্যু বেড়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ১৭ হাজার ৪৩৭ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘আগের দিনের তুলনায় অবশ্য দৈনিক সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যাও কমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৩৭ জন। এ নিয়ে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৫৬ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৭ দশমিক ৩১ শতাংশে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে আরও কমেছে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৫০৮।’