সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ ঢাকা। আর নারায়ণগঞ্জ জুড়ে প্রবল আতঙ্ক। করোনাভাইরাসের ছোবল স্পষ্ট হতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আগেই চরম সতর্কতা দিয়েছিল। বলা হয়, বাংলাদেশ বিরাট করোনা ঝুঁকির মধ্যে।
সোমবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান, আক্রান্ত ১২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার খবর নেই। আক্রান্তদের ৬৪ জন ঢাকার, নারায়ণগঞ্জের ২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২ জন নারায়ণগঞ্জের, তারপরে আছে মাদারীপুর এবং ঢাকা জেলার উপজেলাগুলোতে চারজন আছে।
পরিস্থিতি যে ঘোরতর হচ্ছে তার আঁচ মিলেছিল সরকারের লকডাউন ঘোষণার পরেও বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় পোশাক শ্রমিকদের ছুটি না থাকায়। ফলে গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির পর শনিবার ঢাকায় ফেরার পথে বিরাট ভিড় হয় ফেরী সার্ভিসে। বিশেশজ্ঞরা আশঙ্কিত হয়ে পড়েন এই অবস্থা দেখে।
অভিযোগ, শ্রমিকদের কথা চিন্তা করেনি বিভিন্ন গার্মেন্টস মালিকরা। কেন সরকার এই বিষয় উপেক্ষা করল সেই অভিযোগ উঠতে থাকে। আর শ্রমিকরা জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে আসতে হয়েছে। এরপরই ঢাকা অবরুদ্ধ করে পুলিশ। রাজধানীতে ঢোকা ও বেরোনো বন্ধ করা হয়। একইভাবে বন্ধ করা হয় করোনা সংক্রামিত এলাকা নারায়ণগঞ্জকেও। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশে কোনওরকম ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রক। মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সোমবার ধর্ম মন্ত্রকের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।