হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল। কিন্তু কাটেনি সঙ্কট। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেল তাঁর ‘অদ্ভুত’ সাহসের কথা। যা শুনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিচিতরা হতবাক। কী এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি?
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত চিকিৎসককে কয়েক দিন আগেই বুদ্ধবাবু বলেছিলেন, বিরিয়ানি আর সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস তিনি ছাড়তে পারবেন না। কিন্তু কেন? বুদ্ধবাবু নাকি বলেছিলেন, ‘ছাড়ব বলে তো ধরিনি!’
বলেন কী মশাই? হ্যাঁ, সত্যিই ‘অদ্ভুত’ সাহস তাঁর। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর থেকেই সুগারের সমস্যা রয়েছে। মাঝে বেশ কয়েক বার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফুসফুসের হাল খারাপ। অক্সিজেনের মাত্রা বারংবার কমে যায় শরীরে। এই অবস্থায় সিগারেট ক্ষতির আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কমরেড এবং রাজনৈতিক সতীর্থরা তো বটেই পরিবারের মানুষজনও নাকি বার বার বলেছেন ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ার কথা। কিন্তু কর্ণপাত করেননি তিনি। উলটে বলেছেন, ‘ছাড়ব বলে ধরিনি’। তাঁর এই আচরণে ঘনিষ্ঠ অনেকেই বিরক্ত হয়েছেন। সংবাদ প্রতিদিন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অতি ঘনিষ্ঠ এক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বলেছিলেন, ‘এখন বুদ্ধবাবু সিগারেট খান না, সিগারেট বুদ্ধবাবুকে খায়।’ সে যাই হোক না, এই অভ্যাস ত্যাগ করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা তাঁ নেই বলেই মনে করছেন অনেকে।
(আরও পড়ুন: সিটি স্ক্যান হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের, আজ কেমন আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী)
এর সঙ্গে রয়েছে আর এক অভ্যাস। বিরিয়ানি খাওয়া। বুদ্ধবাবুর নাকি সপ্তাহে এক দিন বিরিয়ানি ছাড়া চলে না। তাও আবার নির্দিষ্ট দোকানেরই হতে হবে। সব মিলিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের ভালোই ‘যত্ন’ নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শোনা যায়, যে ঘরে তিনি থাকেন, সারা দিন সেই ঘরের জানলা খোলা হয় না। কারণ তাঁর চোখ জোর আলো সহ্য করতে পারে না। নিবু আলো জ্বেলে বইপত্র আর খবরের কাগজ নিয়েই দিন কাটে তাঁর। সঙ্গে এই সব অভ্যাস তো আছেই। এর সঙ্গে নাকি আছে নিয়মিত সন্দেশ এবং অন্যান্য মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসও।
আপাতত সুস্থ হওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁর শরীর। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলে কি তিনি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করবেন? ঘনিষ্ঠদের সকলেই এই প্রশ্নের উত্তরে ঠোঁট ওলটাচ্ছেন। না, অন্তত এই বিষয়ে কারও কোনও ভরসা নেই তাঁর উপর।