দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব আইন চালু হতেই উৎসব মাতলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। ঠাকুর বাড়িতে ঢোল, কাসর, করতাল নিয়ে তারা উৎসবে মাতেন। যদিও ঠাকুর বাড়ির অন্যতম সদস্য তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর একে ‘রাজনৈতিক খেলা’ বলে মন্তব্য করেছেন। এই আইন কার্যকর হবার সময় নিঃশর্ত নাগরিকত্ব না দেওয়া হলে তিনি নিজে ধরনায় বসবেন বসে জানিয়েছেন।
২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সিএএ আইন পাশ করায় মোদী সরকার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্থান থেকে সেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চায় তবে তাঁদের তা দেবে ভারত। লোকসভা ভোট ঘোষণার ঠিক আগেই এই আইন চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে মোদী সরকার। এই খবর মতুয়া ঠাকুর বাড়িতে পৌঁছতে উৎসবে শুরু হয়ে যায়। আশেপাশে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা ভিড় জমাতে শুরু করেন। ‘হরিবোল’ ধ্বনিতে দুহাত তুলে তাঁরা নাচতে শুরু করেন। ঠাকুর মন্দিরের সামনে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে মহিলারা একত্রে ডঙ্কা, কাঁসর, করতাল বাজাতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন। নাগরিকত্ব পেতে গেলে আনুগত্যের শপথ নিতে হবে, সই করতে হবে আবেদনকারীকে, কী লেখা আছে সেখানে?
দুই ২৪ পরগনা জুড়েই রয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী এই দুই জেলায় সভা করলেও সিএএ চালু করার ব্যাপারে কোনও আশ্বাস দেননি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন ভোটের আগে চালু হবে সিএএ। কিছুদিন আগে শান্তনু ঠাকুরও সিএএ চালুর ব্যাপারে আশ্বাস বাণী শুনিয়েছিলেন। তিনি এদিন সল্টলেকে বিজেপি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন। এই আইন চালুর আনন্দে মিষ্টিমুখ করা হয়। ঠাকুরবাড়ি ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় ঢোল করতাল বাজিয়ে আনন্দ করেন মতুয়ারা।
আরও পড়ুন। ১০০ টাকায় নাগরিকত্ব! আবেদন করবেন কোথায়? আর কত খরচ? না জানলে বড় মিস
এদিন মমতাবালা ঠাকুর বলেন,‘ আমাদের হাতে বিজ্ঞপ্তি আসুক। যদি দেখি নিঃশর্ত নাগরিকত্বের কথা বলা হয়েছে, তাহলে ভাল কথা। যদি সেটা না থাকে, তবে আমরা আন্দোলনে নামব।’ তাঁর কথায় এই আইনে নিঃশর্ত ভাবে বাইরের দেশ থেকে আসা মানুষকে নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। এখানে যদি কোনও নথি চাওয়া হয়, তাহলে তার বিরোধিতা করা হবে।