রাস্তা বন্ধ করে কেক বিতরণের কর্মসূচি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই কর্মসূচি নিয়ে ছিলেন এক তৃণমূল কাউন্সিলর। অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। রাস্তা আটকে বস্তিবাসীদের কেক দিতে হবে কেন? এই প্রশ্ন তুলে কর্মসূচি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট।
যোধপুর পার্ক এলাকায় ২৫ ডিসেম্বর কেক বিতরণের কর্মসূচি নেন ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। বস্তির ছেলেমেয়েদের কেক দেওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্লাব উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদ। অনুষ্ঠানে থাকার কথা কলকাতা পুরসভা চেয়ারপার্সন মালা রায়ও।
(পডুন। কী লুকানোর চেষ্টা করছেন? এবার SSCকে সেই একই প্রশ্ন করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু)
(পড়ুন। গরহাজির আইনজীবীরা,আসার অনুরোধ জানাতে নিজেই বার অ্যাসোসিয়েশনে বিচারপতি গাঙ্গুলি)
রাস্তা বন্ধ করে অনুষ্ঠানে হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ আপত্তি করেন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। রাস্তা বন্ধ করে এই কর্মসূচি পালন করা নিয়ে প্রধান বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন এভাবে রাস্তা বন্ধ করে অনুষ্ঠান হতে পারে না। বিচারপতি জানিয়ে দেন, বড়দিন এ রাজ্যের অনুষ্ঠান নয়।
শুনানিতে উদ্যোক্তাদের আইনজীবী আদালতে বলেন, দুর্গাপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে পুলিশ কোনও আপত্তি জানায় না। অথচ বড়দিনের অনুষ্ঠানের সময়েই শুধু আপত্তি জানানো হচ্ছে। তা শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, বড়দিনের কেক বিতরণের সঙ্গে দুর্গাপুজোকে গুলিয়ে ফেলবেন না। উদ্যোক্তাদের আইনজীবীর উদ্দেশে বললেন, “দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। একটি কালচারাল ট্যাগ পেয়েছে। এই উৎসব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। শুধু তর্ক করার জন্য তর্ক করবেন না। আপনি নিজেও পশ্চিমবঙ্গের একজন। আপনি এই রাজ্যের নাগরিক।’
এর পর বিচারপতি বলেন, ‘বড়দিন তো এ রাজ্যের অনুষ্ঠান নয়। যদি কেক দিতে হয় তবে বস্তিতে গিয়ে দিন।’ আদালত অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা করে। শুনানিতে আদালত জানিয়ে দেয়, রাস্তা বন্ধ করে কেক বিতরণ অনুষ্ঠান করা যাবে না।