মন্দারমণি লাগোয়া চাঁদপুরে সৈকতে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় কেরল থেকে তাপস জানা বলে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি মন্দারমণি উপকূল থানা এলাকার সটিলাপুরে। লিভ ইন সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালে চাঁদপুর সৈকতে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত তরুণীর নাম লাবনী দাস। তিনি নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা। তিনি বারাকপুরের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন বলে পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, লাবনীর সঙ্গে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বারাকপুরের বাসিন্দা প্রলয় দাসের। লাবনী প্রলয়ের দাদার শ্যালিকা। কলকাতায় মোটরসাইকেলে যাত্রীদের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন তিনি। সেজন্য দমদমে ভাড়া থাকেন প্রলয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, পার্লারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দমদমে প্রলয়ের সঙ্গে সহবাস করতেন লাবনী। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। এর পরই লাবনীকে খুনের পরিকল্পনা করে প্রলয়।
দমদমে প্রলয়ের পাশের ঘরেই ভাড়া থাকত তাপস। তাঁকে পরিকল্পনার কথা জানান প্রলয়। এর পর ২ জনে মিলে লাবনীকে খুন করে। চাঁদপুরের নির্জন সৈকতকেই সেজন্য বেছে নেয় তারা।
তাপসকে কেরল থেকে গ্রেফতারির পর ট্রানজিট রিম্যান্ডে তমলুক নিয়ে এসেছে পুলিশ। তবে খুন চাঁদপুরেই হয়েছে, না অন্য কোথাও খুন করে ফেলে যাওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।