করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে জারি রয়েছে লকডাউন। সেই পরিস্থিতিতে গণপরিবহন চলাচলে ক্ষেত্রেও জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু ছিল কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু পেশার মানুষ ছাড়া ওই ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধি নিষেধ। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আপাতত ফলে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন না চলায় অফিস পৌঁছতে পারছেন না তারা। সেই দাবিতেই ট্রেন চালানোর জন্য ট্রেন লাইনে নেমে বিক্ষোভে সামিল হলেন যাত্রীরা।
বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর স্টেশন। সকালে স্টেশনে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন পৌঁছতেই, তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, এখন লকডাউনে কিছুটা ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করার কথা বলা হয়েছে। ধীরে ধীরে খুলছে দোকানপাট, ছোট কাজকর্মগুলিও সক্রিয় হচ্ছে। কিন্তু ট্রেন ও বাস বন্ধ রয়েছে এখনো। যার জেরে কর্ম ক্ষেত্রে পৌঁছতে না পেরে আর্থিক অনটনের মুখে পড়ছেন মধ্যবিত্ত সাধারণ যাত্রীরা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার মানুষদের কলকাতায় আসার একমাত্র ভরসা ট্রেন পথই। সেই অংশের যাত্রীদের দাবি, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার কিছু ট্রেন যাতে চালু করা হয়।
বুধবার সকালে ঠিক এই কারণেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সোনারপুর স্টেশন। যাত্রীদের একাংশের কথায়, কাজে যেতে গেলে গাড়ি ভাড়া করতে গিয়ে দ্বিগুণ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের অনেকেই রেলের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠে পড়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তাতেও রেলপুলিশ কর্তাদের হাতে ধরা পড়ে অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। অগত্যা দিশেহারা আম জনতা নিজেদের দাবি জানাতে বিক্ষোভের পথই বেছে নেন। বিক্ষোভ সামলাতে পৌঁছন রেল পুলিশের আধিকারিকরা। যাত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করলে পাল্টা নিজেদের অবস্থা তুলে ধরেন যাত্রীরাও। সোনারপুরে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, আলোচনার মাধ্যমে পথ খোঁজার চেষ্টা করছেন রেল কর্তারা।