গত ২০ এপ্রিল অর্থাৎ প্রায় দেড়মাস আগে শেষবার রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১০ হাজারের কম। তারপর ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। ৪২ দিন পর মিলল খানিকটা স্বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দশ হাজারের কম মানুষ। মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১৩৭ জন। সেরে উঠেছেন ১৭, ৭২২ জন। সুস্থতার হার পেরিয়েছে ৯৩ শতাংশ | স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের ৯,৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ২,০২৮ জন উত্তর ২৪ পরগনার । অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিনও প্রথম স্থানে ওই জেলা। তবে এদিনও উঃ ২৪ পরগনার দৈনিক ২ হাজারের সামান্য বেশি। যা স্বস্তি দিচ্ছে ওই জেলার বাসিন্দাদের। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। একদিনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৩২ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটা কমেছে কলকাতার সংক্রমণ। এদিনও তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৭৫৫ জন। হাওড়া রয়েছে চতুর্থ স্থানে। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৬৬১ জন। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের করোনা গ্রাফও বেশ খানিকটা নিম্নমুখী। তবে এদিনও প্রায় সব জেলা থেকেই মিলেছে নতুন সংক্রমিতের হদিশ। ফলে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩,৮৫,৮০১।
স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ১৩৭ জনের। যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি কম। এদিনের মৃতদের মধ্যে ৩৫ জনই উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে ওই জেলা। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা (Kolkata)। সেখানে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় সামান্য হলেও বেড়েছে মৃত্যু। একদিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনার বলি ১৩ জন। এদিন হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫, ৬৭৮। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ১৭, ৭২২ জন। তাঁদের মধ্যে ৩,৬৭৪ জন উত্তর ২৪ পরগনার। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১২,৯১, ৫১০। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৩. ২০ শতাংশ।