সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা না করেই করোনা সংক্রমণকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছে দিল্লি। ঠিক সেই কারণেই চলমান যে যে বিধিনিষেধ ছিল রাজধানীতে, তার অনেকটাই শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার।
সব থেকে বড়ো যে বিধিনিষেধটি দিল্লিতে ছিল, সেটা হল সাপ্তাহান্তিক কার্ফু। শুক্রবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত পুরো কার্ফু থাকত দিল্লিতে। সেটা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। অর্থাৎ, এই সপ্তাহান্ত থেকে শনিবার এবং রবিবার দিল্লির জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক থাকবে।
করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে দিল্লি সরকার রাজধানীতে সাপ্তাহিক কার্ফু জারি করে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুব্ধ ছিল সেখানকার ব্যবসায়ীমহল। তারা কার্ফু তোলার জন্য আপ সরকারের ওপর চাপ বাড়ায়। দাবি ছিল, করোনার কারণে এমনিতেই ব্যবসা মার খেয়েছে। এর ওপর কার্ফু জারি হলে কার্যত পথে বসতে হবে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, সাপ্তাহিক কার্ফু তোলার ব্যাপারে আলোচনা করতে দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে সাপ্তাহিক কার্ফু তুলে নেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে নৈশ কার্ফু এখনই তোলা হচ্ছে না। নৈশ কার্ফু রাত ১০টা থেকে পরের দিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। তবে স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে থেকে খুলবে, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে কোনও কথা হয়নি। উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব শীঘ্রই খোলা হবে। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মনে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ অভিভাবকও স্কুল খোলার পক্ষে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন দেখার কবে থেকে দিল্লিতে খোলে স্কুলের দরজা।