সরকারি হাসপাতালের আউটডোর নিয়ে হাজারো অভিযোগ। কলকাতার পাশাপাশি জেলার হাসপাতালের আউটডোরে গেলে বোঝা যায় কী বিপুল সংখ্য়ক মানুষ এই সরকারি হাসপাতালে আউটডোরের উপর নির্ভরশীল। তবে এবার সরকারি হাসপাতালের আউটডোর খোলার বিষয়টি নিয়ে বিরাট কড়াকড়ি করল স্বাস্থ্যদফতর। নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সমস্ত সরকারি হাসপাতালের বর্হিবিভাগ খুলতে হবে সকাল ৯টার মধ্য়ে। এখানেই শেষ নয়, সকাল ৯টার মধ্যে আউটডোর খুলেছে কি না তা ৯টা বেজে ১৫মিনিটে নিশ্চিত করতে হবে নোডাল অফিসারকে।
সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্য় পরিষেবা আরও ভালোভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য়ই এই উদ্যোগ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আউটডোর খুললেও সব বিভাগের চিকিৎসক কি সঠিক সময়ে আসবেন? আবার আউটডোরে কিছুক্ষণ থেকেই বেসরকারি হাসপাতালে রাউন্ডে যাওয়ার প্রবণতাও চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে থাকে। সেই অনিয়ম কি আদৌ বন্ধ করা যাবে?
তবে নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্য়ে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস করে জানাতে হবে যে আউটডোর খুলে গিয়েছে। রবিবার ও ছুটির দিন ছাড়া এই নিয়ম জারি থাকবে। জেলার মুখ্য়স্বাস্থ্য আধিকারিককে এই গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখতে হবে।
কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন এই ধরনের কড়াকড়ি সরকারি হাসপাতালে নতুন এমনটা নয়। তবে দিন কয়েকের মধ্য়েই দেখা যায় এই নিয়মের শিথিলতা তৈরি হয়েছে। অনেকেই নিয়ম মানতে চাইছেন না।
এদিকে সরকারি হাসপাতালের আউটডোর মানেই রোগীদের লম্বা লাইন। এক একটি বিভাগের সামনে সেই লাইন যেন ফুরোতেই চায় না। একদিকে টিকিট করতে লাইন। অন্য়দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য় লাইন। তবে বর্তমানে কিছু সরকারি হাসপাতালে অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য়দিকে ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ নেওয়ার জন্য় ফের দীর্ঘ লাইন দিতে হয়। সব মিলিয়ে সেই লাইন যেন ফুরোতেই চায় না। ঘণ্টা পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের। তবে কিছুক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ধৈর্য্যে ধরে এই বিপুল রোগীর চাপ সামাল দেন। তবে এবার নয়া নির্দেশে কাজ কতটা হয় সেটাই দেখার।