মাথা চুলকচ্ছেন চেতেশ্বর পুজারা। দোষ দিচ্ছেন নিজের ভাগ্যকে। নইলে যে পিচে ভারতের সব ব্যাটসম্যান রান পেয়েছেন, চোখধাঁধানো কিছু শট খেলেছেন অজিঙ্ক রাহানে, সেখানে তিনি কী ভাবে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান! যাই হোক, রবিবারের ম্যাচ রিপোর্টে পুজারা নয়, মনোযোগ করা যাক বরং কেএল রাহুলের দিকে।
ইংল্যান্ড সিরিজে যেখানে শেষ করেছিলেন রাহুল, এ দিন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন তিনি। মাঝে চোটের কারণে দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজটা তিনি খেলতে পারেননি। ময়াঙ্ক অগ্রবালকে নিয়ে ওপেনিং করতে নামেন রাহুল। শুভমন গিলকে একাদশের বাইরে রেখেই এ দিন খেলতে নামে ভারত, ঠিক যেমন শ্রেয়স আইয়ারকে বাইরে রেখে অজিঙ্ক রাহানেকে খেলানোর সাহসী সিদ্ধান্ত এ দিন ভারত নিয়েছে।
যাই হোক, এ বার খেলার কথায় আসা যাক। শুরু থেকেই সেট হয়ে গিয়েছিলেন রাহুল, ময়াঙ্ক। তবে অনেক বেশি আগ্রাসী ছিলেন ময়াঙ্ক নিজে। প্রথম জুটিতে ১১৭ রান তোলে ভারত। একটি তথ্য বলছে গত ৩০ বছরে দেশের মাঠে কোনো সিরিজে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম বল করছে, এমন ঘটনা ২৪ বার ঘটেছে। এর মধ্যে এটা দ্বিতীয় বার ঘটল, যখন বিপক্ষের ওপেনিং জুটি একশো পেরিয়ে গেল।
৬০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান ময়াঙ্ক। তাঁকে ফিরিয়ে দেন লুঙ্গি এনগিডি। ময়াঙ্ক আউট হওয়ার পরের বলেই ফিরে যান পুজারা। আচমকা ধাক্কা খায় ভারত। তবে সেই ধাক্কা সামলে দেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলি।
রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে এগিয়ে যান বিরাট। ততক্ষণ পঞ্চাশ পেরিয়ে গিয়েছেন রাহুল। বিরাটকে যথেষ্ট সাবলীলই দেখাচ্ছিল এ দিন। মনে হচ্ছিল তাঁর ব্যাট থেকে বড়ো রান আসা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু দলের স্কোর ২০০ পেরোনোর একটু আগেই আবার সেই এনগিডির বলকে স্লিপে খোঁচা দিয়ে দেন তিনি।
পাঁচ নম্বরে নেমে রাহানেকে এ দিন খুব সাবলীল লেগেছে। শুরু থেকেই পজিটিভ ছিলেন তিনি। চোখধাঁধানো কিছু ড্রাইভ খেলেন তিনি। অন্যদিকে শতরান পেরিয়ে যান রাহুল। দিনের শেষে দু’জনেই অপরাজিত রয়েছেন। রাহানে অবশেষে ফর্মে ফিরছেন, এতেই খুশি ভারত।