India Pakistan: শাহবাজ শরিফকে মোদী তুলোধনা করে দিলেন। SCO বৈঠকে যোগ দিয়ে ভুল করেছিল পাকিস্তান। মোদীর বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলা শাহবাজ শরিফ পাল্টা দিতে পারলেন? পুতিনের সামনে চীনকে কার্যত সবক শেখালো ভারত। এসসিও-র ভার্চুয়াল মিটিংয়ে পাকিস্তানের হাল বেহাল হল কেন? পাকিস্তান কী ভাবতেও পারেনি এরকম কিছু হতে পারে? না ভেবেও এসসিওতে যোগ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। পুতিনের সামনেই রাশিয়া বন্ধু চিন এবং পাকিস্তানকে কার্যত তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শি জিনপিং চেয়েও আটকাতে পারলেন না নমোকে।
SCO কিন্তু ‘বেজিং প্রভাবিত’ একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ৷ SCO গ্রুপের হেডকোয়ার্টারও হল বেজিং চায়না সেখানে ভারত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মোদীর এই হুঙ্কারের বড় ইমপ্যাক্ট পড়তে চলেছে। কি বললেন নরেন্দ্র মোদী? তার পাল্টা পাকিস্তান বা কীভাবে প্রতিবাদ করল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন বন্যা বিদ্ধস্ত ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানের কাছে এবারের এসসিও সামিটে যোগ দেওয়াটা খুবই দরকারি ছিল। কারণ এই ফোরামে যোগ দিয়েই নিজেদের দায়িত্ববান দেশ প্রমাণ করতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। সেজন্যই তো পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ভুট্টোও দৌড়ে এসেছিলেন ভারতে। কিন্তু বোধহয় ইসলামাবাদ ভাবতেও পারেনি তার কুকর্মে এমন শাস্তি হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে ভার্চুয়াল বৈঠকে মোদী বলেন ‘‘আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ আমাদের তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’’ এর পরেই পাকিস্তানের নাম না করেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘কিছু দেশের নীতিই হল সীমান্ত পারের সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া তাদের নিন্দা করার ক্ষেত্রে কোনও দ্বিধা থাকা উচিত নয়’’ জানা যাচ্ছে মোদীর এই খোঁচার পরও কার্যত মুখে কুলুপই এটেছিল পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের তরফ থেকে কোনওধরণের পাল্টা মন্তব্য শোনা যায়নি। এমনকি পাকিস্তানের পরম মিত্র চীনও কোনও ধরণের টুঁ শব্দ করেনি। শি জিনপিং নিজে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।
কূটনৈতিক মহল বলছে নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ৩টি দেশ কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান এবং তাজিকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে চীন একটি নতুন জোট গড়েছিল। ১৯৯৬ সালে শান্তি, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং ব্যবসাবাণিজ্য বাড়াতে চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান এবং তাজিকিস্তান যৌথ ভাবে ‘সাংহাই ফাইভ’ গড়ে তোলে। ২০০১-এ উজবেকিস্তান এই জোটে যোগ দেয়। সংস্থাটির নাম বদলে হয় শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)। ২০১৫-য় মূলত মস্কোর উদ্যোগে ভারত এই প্রভাবশালী আঞ্চলিক রাষ্ট্রগোষ্ঠীর সদস্য হতে পারলেও নয়াদিল্লিকে চাপে রাখতে চিন একই সঙ্গে পাকিস্তানকে ওই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কিন্তু চীনের স্বপ্ন ভেঙে এখন চুরমার৷ ভারতকে পাকিস্তান নয়। ভারতের জেরে পাকিস্তান এখন রীতিমত চাপে-অস্বস্তিতে। মনে করে দেখুন এসসিও সামিটের আগের বৈঠকে বিলাবল ভুট্টোকে কটাক্ষ করেই কার্যত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ঝোড়ে ব্যাটিং করেছিলেন জয়শঙ্কর। পরিস্কার বলে দিয়েছিলেন ‘‘এখানকার কিছু দেশ সন্ত্রাস-বাণিজ্যের সমর্থক, মদতদাতা এবং মুখপাত্র’। এবার মোদী নামলেন আসরে৷ এসসিও বৈঠকে এবার পাকিস্তান কতটা প্রভাব বিস্তার করে সেটাই দেখার৷ এই সংক্রান্ত খবর জানতে নজর থাকুক র দিকে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়