পুজোর আগে কি শহর কলকাতার সব রাস্তা সারানো যাবে? অবহাওয়ার হালহাকিকত দেখে চিন্তায় রয়েছে পুরসভা। কখনও রৌদ্দুর, কখনও আবার বৃষ্টি, তাপমাত্রার বৃদ্ধি চিন্তায় রেখেছে পুরসভাকে।
তবে পুরসভার আধিকারিকরা মনে করছেন আগামী দুসপ্তাহ যদি বৃষ্টি না হয় তবে পুজোর আগেই সারিয়ে ফেলা যাহে শহরের রাস্তা। ইতিমধ্যেই কাশীপুর রোড, বেন্টিক স্ট্রিট, সিআইটি রোড (মৌলালি)-এ রাস্তা সারাইয়ের শেষ হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘উৎসবের কথা মাথায় রেখে আগামী মহালয়াকে ডেডলাইন ধরা হচ্ছে। যদি আগামী দুসপ্তাহ বৃষ্টি না হয় তবে ওই ডেডলাইনের মধ্যে শহরের সমস্ত রাস্তা সারাইয়ের কাজ শেষ করা যাবে।’
সম্প্রতি অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক জায়গাতে রাস্তার উপরের স্তর উঠে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। বিধান সরণি, এপিসি রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস রোড, ইএম বাইপাসের একাধিক জায়গায় রাস্তা গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি না হলে ওই রাস্তাগুলি মহালয়ার মধ্যে সারিয়ে ফেলা যাবে।
সপ্তাহের শেষের দিকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে ধরে নিয়ে প্রস্তুত থাকছে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগও। বৃষ্টির পর জমা জল যাতে দ্রুত বার করে দেওয়া যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা।
(পড়তে পারেন। পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল পরিবহণ দফতর, সরঞ্জাম কিনবে রাজ্য পুলিশ)
বড়বাজার, চিতপুর, ঠনঠনিয়া, মক্তরামবাবু স্ট্রিট, আর্মহাস্ট স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, ভবানীপুরস শরৎ বোস রোড, খিদিরপুর এবং যোধপুর পার্কে যাতে জল না জমে তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে।
কলকাতা পুরসভার অ্যাডেড এরিয়াতে যাতে জল না জমে তার জন্য পোর্টেবল পাম্প রাখা হচ্ছে।
এছাড়া পুরসভার ইলেক্ট্রিক ডিপার্টমেন্ট থেকে শহরের রাস্তা এবং পার্কে আলোক ব্যবস্থার উপরও নজর রাখা হচ্ছে। যাতে ভারী বর্ষায় কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হন।
তবে মহালয়ার আগে যাতে শহরের ভাঙাচোরা রাস্তা সারিয়ে ফেলা হয় তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মেয়রও। তবে বৃষ্টি বাধ সাধছে রাস্তা তৈরির কাজে। তাই তাদের আশা যদি দুসপ্তাহ বৃষ্টি বন্ধ থাকে তবে ওই সময়ের মধ্যে রাস্তা সারানোর কাজ শেষ করা যাবে।