খাতায় কলমে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কথা ৮ জুন। কলকাতায় বর্ষা শুরু হয় ১১ জুন নাগাদ। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে যে রকম আবহাওয়া চলছে তা বর্ষার সঙ্গেই তুলনীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় একশো মিলিমিটারের ওপর বৃষ্টি রেকর্ড করা হল শহরে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর ঘণ্টা দুয়েকের বৃষ্টিতে ভেসেছে গোটা কলকাতা। আবহাওয়া দফতরের রেকর্ড বলছে এই সময়ে শহরে ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতার উত্তরের দমদমে বৃষ্টি হয়েছে ১১১ মিলিমিটার। অন্য দিকে সল্টলেকে বৃষ্টির পরিমাণ সব থেকে বেশি, ১১৬ মিলিমিটার।
মে মাসে একদিনে এই পরিমাণ বৃষ্টি কোনো ভাবেই হওয়ার কথা নয়। গত বছর ২০ মে অবশ্য ২৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতায়। কিন্তু সেটা ছিল অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের প্রভাবে। কিন্তু ভরা গ্রীষ্মের দিনে বর্ষার বৈশিষ্ট্য নিয়ে এমন বৃষ্টি কলকাতায় আগেও খুব একটা দেখা যায়নি।
শুধু কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলই নয়, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের আরও কিছু কিছু জায়গাতেই ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ব্যারাকপুরে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণের ক্যানিং ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি পেয়েছে। অন্য দিকে বহরমপুরে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়াও ভালো বৃষ্টি হয়েছে খড়গপুর (৩৫ মিমি), মগরা (৩২ মিমি), কৃষ্ণনগর (৩১.৪ মিমি), পুরুলিয়া (৩০ মিমি) এবং দিঘায় (২০ মিমি)।
এই বৃষ্টির কারণে কলকাতাও অনেকটাই লাভবান হয়েছে। এমনিতে গোটা মে মাসে কলকাতায় ১৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু এ বার মে’র প্রথম ১১ দিনেই ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে গেল। এর ফলে গত বছর নভেম্বর থেকে বৃষ্টি না পাওয়ার ফলে শহরের মাটির তলার জলস্তর যেটা কমতে শুরু করেছিল, সেটা ফের বেড়েছে।
আরও দু’তিন দিন দক্ষিণবঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পর অবশ্য ফিরবে মে’র পরিচিত গরম। ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রা।