করোনার কবল থেকে এখনও মুক্ত নয় চিন।সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে প্রথমবারের মতো ১০০টির বেশি নতুন COVID-19 আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে হুবাই প্রদেশে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে চিনে মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩, ৩৪১। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন(এনএইচসি)-এর মতে, মোট ১,৩৭৮ জন বাইরে থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে ১,০৬৪ জনের করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বেশ ১০ জনের শরীরে নতুন করে সংক্রমণ হয়েছে। এনএইচসি জানিয়েছে, এই ১০ জনের মধ্যে হিলংজিয়াং প্রদেশে ৭টি এবং গুয়াংডং প্রদেশে ৩ জনের শরীরে নতুন করে সংক্রমণ হয়েছে।
রবিবার চিনে মোট ১০৮ জনের শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৯৮ জন বিদেশ থেকে ফিরেছেন। ফলে চিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২,১৬০ জন।
রবিবার পর্যন্ত চিনে বিদেশ থেকে আসা মোট ১,৩৭৮ জন আইসোলোশনে ছিলেন। এর মধ্যে ৫১১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ৮৬৭ জন এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন। আর গুরুতর অবস্থায় ৩৮ জনকে চিকিত্সা চলছে বলে এনএইচসি জানিয়েছে।
এছাড়াও ৬১টি অ্যাসিম্পটোমেটিক কেসগুলি পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ১২ জন এসেছে বিদেশ থেকে। ফলে এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১,০৬৪ জন। যারর মধ্যে ৩০৭ জনই বিদেশ থেকে ফিরেছেন। এদের প্রত্যেকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
অ্যাসিম্পটোমেটিক কেসগুলি এমন লোকজনকে বোঝায় যারা করোনভাইরাসটির জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছেন তবে জ্বর, কাশি বা গলার মতো লক্ষণগুলির বিকাশ ঘটে না। এগুলি সংক্রামক এবং অন্যের কাছে ছড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। এক স্বাস্থ্য কর্মীর মতে, হুবেই প্রদেশ ও উহানের মারণ এই ভাইরাস এখনও রয়েছে। তবুও বিদেশের বিভিন্ন COVID-19 হটস্পট শত শত মানুষ দেশে ফিরছেন। ফলে দেশে আমদানি করা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় এক চিকিত্সক দলের প্রধান ইউ কাইজিয়াং বলেন, ‘ইনবাউন্ড কর্মীদের প্রতিটি ব্যাচে ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে কোভিড-19 রোগীর অনুপাত খুব বেশি ছিল। কিছু ব্যাচে এই অনুপাত আরও বেশি ছিল।’ সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সুইফেনেই দিক থেকে দেশে ২,৪৯৭ জন ঢুকেছে।