হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে হাসপাতাল চত্ত্বরেই গান গেয়েই নিজের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি। ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র। বাড়ি যাওয়ার আগে একটি মাজারে যান। সেখান থেকে একটি গুরুদ্বারায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় সেটি বাতিল হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা অনুগামীরা রাস্তাতেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন।
রবিবারই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মদন মিত্র। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় আপন মেজাজেই দেখা যায় তাঁকে। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তাঁর পরনে ছিল লাল ধুতি, লাল পাঞ্জাবি, মুখে লাল মাস্ক ও চোখের সানগ্লাসও ছিল লালচে কাচের। কপালে লাল তিলক কাটা ‘লাল টুকটুকে’ মদনকে স্বাগত জানাতে উৎসাহী অনুগামীদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। খোশ মেজাজে হাসপাতালের সিঁড়িতে দাঁড়িয়েই ফেসবুক লাইভ শুরু করে দেন। লাইভে বিশেষ কিছু বলবেন না বলেও ১০ মিনিট ধরে বক্তৃতা ও রবীন্দ্রসংগীত গাইতে দেখা যায়। বিভিন্ন সিনেমার হিট ডায়লগের অনুকরণও শোনা যায় তাঁর গলায়।
হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিল কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রেও। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তাঁর সঙ্গে থাকা অনুগামীরাই তাঁকে ইনহেলার দেন। রাস্তাতেই তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তারপরই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা গিয়ে তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রতেও যেতে পারেননি তিনি। যার জন্য সেখানকার মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের কাছে যেতে পারছি না। অসুস্থ হওয়ায় আপনারাই আমার কাছে বারবার আসেন। তবে আমি কোন ছল করে অসুস্থ হইনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ হয়ে আমি কামারহাটি যাব।”
প্রসঙ্গত, এদিন হাসপাতাল থেকে হুডখোলা জিপে নিজেই স্টিয়ারিং-এ বসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন ‘মদন দা’। ভবানীপুরে কাঁসারি পাড়ার বাড়িতে যান তিনি। সেখানেই কিছুক্ষণ কাটিয়ে, দক্ষিণ কলকাতার একটি মাজারে চাদর চড়িয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন তিনি। সেখান থেকে একটি গুরুদ্বা্রা হয়ে তাঁর বিধানসভা এলাকার মধ্যেই ডানলপে ভগৎ সিংহের মুর্তির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।