মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদে নাম নথিভুক্ত করাতে হয় নবম শ্রেণিতে। সেই রেজিস্ট্রেশনের একটা নির্দিষ্ট সময়ও থাকে। এবছরও তা ধার্য করা হয়েছে। তবে এই রেজিস্ট্রেশন নিয়ে উদাসীন রাজ্যের কয়েকটি স্কুল। নির্ধারিত সময়ে পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন না করার জন্য চার স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের জরিমানা করল হাই কোর্ট।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ২০২৩ সালের নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে স্কুলগুলিকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে যে মুচলেকা (আন্ডারটেকিং) দিতে বলেছে, তা বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির প্রধানদের। এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
মালদহের একটি স্কুলের ২৪ জন ছাত্রছাত্রীর রেজিস্ট্রেশনের আবেদন না করার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা ও আসানসোলের একটি করে স্কুলের একজন করে পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশনের আবেদন না করার জন্য যথাক্রমে ৫০ হাজার, ১০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের।
এছাড়াও এদের মধ্যে রয়েছে, ভগবানপুর কেবিএস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান। তাঁকে দিতে হবে ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি টাকা। তালিকায় রয়েছে নব নালন্দা (শান্তিনিকেতন) হাইস্কুলের নাম। সেখানে এক পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। ফলত, প্রধান শিক্ষক গৌরগোপাল চট্টোপাধ্যায়কে ৫০ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অন্যদিকে, হুগলির বিনাপানি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বসুকে দশ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা দিতে হবে। কারণ সেখানে একজন ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন হয়নি। রয়েছে আসানসোলের সেন্ট মেরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মনিকা সরকার। তাঁকে ২৫ হাজারের বেশি টাকা জরিমানা। বৃহস্পতিবার এই পড়ুয়াদের তথ্য জমা নেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের নন জুডিশিয়াল ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লিখে জানাতে হবে যে তাঁর স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের সবার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের দিন ধার্য করা হয়েছিল। পরে জানানো হয়, লেট ফি দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। অভিযোগ, এরপরও কয়েকটি স্কুল এই রেজিস্ট্রেশন করানোর ব্যাপারে উদাসীন। ফলত, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার।