জয়নগরের সভা থেকে একের পর এক আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কখনও তিনি সিপিএমকে আক্রমণ করেন। কখনও আবার তাঁর নিশানায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে। সেই জোটে সিপিএমও রয়েছে। আর মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বললেন, সন্ত্রাসবাদী সিপিএম ৩৪ বছর মানুষের উপর অত্য়াচার করেছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা করব না।
তিনি বলেন, ওরা মুন্ডু নিয়ে খেলেছে। ওদের সঙ্গে আপোস নয়।৩৪ বছর ছিল তখন কী করেছে। আজ বড় বড় কথা। নাপিত বয়কট, ধোপা বয়কট, স্কুল বয়কট, কলেজ বয়কট। মানুষের মুন্ডু নিয়ে খেলা । কত কীই করেছে।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও তিনি জয়নগরের প্রশাসনিক সভা থেকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে ৭৬টি টিম এসেছে। তাও টাকা দিচ্ছে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করে এসেছি।….আমাদের রাজ্যে দিল্লি তুলে নিয়ে যায়। আমাদের টাকা দিল্লি তুলে নিয়ে যায়। ঘর তৈরির টাকা দেয় না। লজ্জা করে না। ১০০দিনের টাকা দেয় না। গেরুয়া রঙ করতে হবে। গেরুয়া রঙ সাধুরা পরে। আমরা সম্মান করি। আমরা ভারত সরকারের লোগো লাগাতে বাধ্য। রাজ্যের লোগো লাগাতে পারি। কিন্তু পার্টির লোগো লাগাতে পারি না।
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, কাল আমায় জিজ্ঞাসা করছিল রামমন্দির নিয়ে আপনার কি বক্তব্য। যেন আর কাজ নেই। আপনারা করছেন করুন। ইলেকশনের আগে গিমিক শো করবেন। আমার আপত্তি নেই।
মমতা বলেন, চিটফান্ডের নাম করে অনেক লোককে গ্রেফতার করেছে। করতেই পারেন। আমরা চিটফান্ড সমর্থন করি না। কিন্তু টাকা ফেরত দিলেন কি! আমরাই প্রথম গ্রেফতার করেছিলাম। আপনারা সম্পত্তি সব নিয়ে নিলেন। সেসব বেচে কি গরিব মানুষকে টাকা ফেরত দিলেন? গরুও তৃণমূলও, কয়লাও তৃণমূল, ময়লাও তৃণমূল, হোয়াট ইস দিস। দাড়ি পাকলেও বলবে তৃণমূল। তৃণমূলকে দেখলে কাঁপে। তাই তৃণমূলের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভাবছে ভোটের আগে সবাইকে গ্রেফতার করি। তাহলে এলাকা খালি হয়ে যাবে। তাহলে বিজেপি ডুগডুগি বাজাবে। ওত সহজ নয়। সব সাধু সাধু নয়। সবাইকে চোর বললে, সব চোর চোর নয়। কিছু টেলিভিশন চ্যানেলকেও একহাত নেন তিনি।