বাংলায় পদ্ম ফোটাতে প্রচার চালিয়েছিলেন মোদি-শাহ জুটি। ছুটে এসেছিলেন গেরুয়া শিবিরের তাবড় নেতারা। এবার খোদ মোদি-শাহের ‘গড়’ গুজরাটে সংগঠন গড়ছে তৃণমূল । এমনকী, ২১ জুলাই সেখানে শোনানো হবে ‘দিদি’র ভাষণ । সেই প্রস্তুতিও শুরু করে ফেলেছে ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, গুজরাট প্রদেশ’।
বিজেপির বাঘা-বাঘা নেতাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কার্যত একা লড়াই করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে দলে ভাঙন, বিশ্বস্ত সৈনিকদের দলবদল, কোনও কিছুই তাঁর জনপ্রিয়তায় দাগ কাটতে পারেনি। বরং গত দুবারের চেয়ে বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। তার পর থেকেই ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’, ‘দিদি এবার পি এম হবে’-র মতো স্লোগান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধিতায় ভরসাযোগ্য মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মমতা। আর সেই কথা মাথায় রেখেই জাতীয়স্তরে রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল।
সেই স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবেই এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেত্রীর ২১ জুলাইয়ের ভাষণ পৌঁছে দিতে কোমর বাঁধছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যে দিল্লিতে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ সম্প্রচার করার ঘোষণা করা হয়েছে। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিপ্লব দেবের ত্রিপুরা, হিমন্ত বিশ্বশর্মার অসম-সহ ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবেও তাঁর ভাষণ সম্প্রচার করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই তালিকায় জুড়েছে গুজরাটের নামও। সে রাজ্যের ৩৩-এর মধ্যে ৩২ জেলাতেই বড় স্ক্রিনে ভারচুয়ালি হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাইবাহুল্য, মোদি-শাহের ‘আপন রাজ্যে’ কড়া ভাষায় তাঁদেরই আক্রমণ শানাবেন তৃণমূলনেত্রী।