সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের পর এবার করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে । রাজ্যের মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন সাধন বাবু। এরপরই তাঁকে বাইপাসের ধরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সাধনবাবুর করোনা পরীক্ষা করা হয়। আর রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের বিদায়ী ক্রেতা-সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী।
তবে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাধন পাণ্ডেকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর চিকিত্সকরা বারংবার অনুরোধ করলেও সাধনবাবু হাসপাতালে থাকতে চাননি। এরপরই সাধন বাবুর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় ফের তিনি হাসপাতালে যাবেন কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁর অনুগামীরা। তবে, হাসপাতালে ভর্তি না হলেও সেক্ষেত্রে বাড়িতে হোম কোয়ারানটিনে থাকতে পারেন তিনি।
এবারের ভোটেও মানিকতলা কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন সাধন পাণ্ডে। রাজ্য়ের শেষ দফায় ২৯ এপ্রিল তাঁর কেন্দ্রে ভোট। তাই প্রচারের ক্ষতি এড়াতেই তিনি এলাকায় থাকতে চাইছিলেন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত প্রচার থেকে দূরেই থাকতে হবে তাঁকে। তবে, চিন্তার বিষয় হল, বহু দিন ধরেই কিডনির জটিল সমস্যায় ভুগছেন সাধন পাণ্ডে। এমনকী তাঁর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টও করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন সাধনবাবু। বুধবার প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষের শেষযাত্রাতেও সামিল হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর গতকাল রাতেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এদিন সকালে হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর করোনা পরীক্ষা হওয়ার পরই জানা যায়, মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
বুধ বার কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মানিকতলার তৃণমূল কংগ্রেস । ভ্য়াকসিন নেওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারও করেছেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটের সকালে অসুস্থ বোধ করেন তনি। সামান্য শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং শরীরে ব্যথা অনুভব করেন সাধন। এরপেরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে এখন তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সাধন পান্ডের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিশ্রামে থাকতে রাজি হচ্ছেন না তৃণমূল নেতা। বিকেলেই নির্বাচনী প্রচারে বেরোতে চাইছেন তিনি।