বেঙ্গালুরু : আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচন। আপাতত রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কিন্তু এক অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আছে কন্নড়ভূমের পরিষদীয় রাজনীতির ইতিহাসে। ১৯৪৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত মোট ২৩ জন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন নিজের কুর্সিতে পুরো মেয়াদ কাটাতে পেরেছেন।
ঘটনাচক্রে এদের মধ্যে তিনজনই কংগ্রেসের। এরা হলেন এস নিজলিঙ্গাপ্পা, দেবরাজ উরস আর সিদ্ধারামাইয়া। ১৯৫৬ সালে কর্ণাটক রাজ্যের পুনর্গঠন হয়। কিন্ত সাতচল্লিশ থেকে মোট ১৬টি বিধানসভা নির্বাচনে অধিকাংশ বার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ফের রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পায় কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রীরা দ্বিতীয়বার রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব পাননি।
আরও পড়ুনং: CBSE Board Result 2023: রেজাল্টের অপেক্ষার মাঝেই বড় খবর, CBSE বোর্ডের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার নিয়মে বদল! জানুন
ব্যতিক্রম মাত্র দুজন, কংগ্রেসের দেবরাজ উরস আর জাতীয় রাজনীতিতে একসময়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব জনতা দলের রামকৃষ্ণ হেগড়ে। অথচ এই রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। নিজলিঙ্গাপ্পা আর দেবরাজ উরস ছাড়াও বীরেন্দ্র পাতিল আর দেবগৌড়ার ছেলে কুমারস্বামী দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে তিন তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন রামকৃষ্ণ হেগড়ে।
আর চারবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন কর্ণাটকে রাজ্য বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পা। অবশ্য সব থেকে কম মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ডও আছে ইয়েদুরাপ্পার দখলে। ২০০৭ সালে আটদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। আর ২০১৮ সালে মাত্র সাতদিনের জন্য। গোটা দেশের মধ্যেও বোধহয় এই পরিসংখ্যান নজির তৈরি করার মত।
অবশ্য ৭৫ বছরের ইতিহাসে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতায় থেকেছে কংগ্রেস। আর রাজ্য রাজনীতিতে জাতপাতের সমীকরণ বরাবরই গুরুত্ব পাওয়া কর্ণাটকে ভোক্কালিগা সম্প্রদায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সাত জন। লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নয় জন। এছাড়া ওবিসি তালিকাভুক্তদের মধ্যে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন পাঁচজন, বাকি দুজন ছিলেন জাতে ব্রাহ্মণ।
Tags: Assembly Election 2023, Chief minister, Karnataka election, Political Crisis