“আমাকে চড় মারা হয়েছে।” শুক্রবার এমনই অভিযোগ করলেন অভিনেতা তথা ভবানীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।
এ দিন অভিনেতা জানান, ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে তিনি তৃণমূলের হামলার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কালীঘাট থানায় অভিযোগও নথিভুক্ত করেছেন তিনি। তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য।
ঘটনা সম্পর্কে রুদ্রনীল বলেন, ‘‘আমি কয়েকজনকে নিয়ে ত্রাণবিলির কাজ করছিলাম। প্রায় ৩০০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার পর ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহ দলবল নিয়ে আমার উপরে হামলা করে। আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। আমার সঙ্গীদেরও মারা হয়েছে। ত্রাণের গাড়িটিও আটকে রাখার চেষ্টা হয়।’’ঘটনায় বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ রুদ্রনীল কালীঘাট থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন। যদিও অভিনেতাকে মারধরের ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট বাবলু সিং। তাঁর কথায়, রুদ্রনীলকে শুধু জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ত্রাণ দেওয়ার প্রশাসনিক অনুমতি তাঁর কাছে আছে কি না, তাতেই মেজাজ হারান অভিনেতা।
তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, রুদ্রনীলের বক্তব্য একেবারেই সত্যি নয়। তাঁর উপর কেউই হামলা করেনি। দলের এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘‘উনি তো অভিনেতা। ভোটে হেরে গিয়ে এখন অভিনয়ের আশ্রয় নিয়েছেন! কেন কেউ ওঁকে শুধু শুধু চড় মারতে যাবে!’’
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন রুদ্রনীল। হেরে গিয়েছেন। কিন্তু অভিনেতার দাবি, হেরে গেলেও তিনি ভবানীপুরের মানুষের পাশে থাকতে চান।উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকার স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রুদ্রনীলকে। একুশের বিধানসভায় ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রচারে বেরিয়ে তিনি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তাঁকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগানও উঠেছিল। এবার ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে ‘হামলা’র মুখে পড়তে হল তাঁকে।