বৃহস্পতিবার সাতসকালে সন্দেশখালিতে ইডির আধিকারিকরা। এবার শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় সঙ্গে রয়েছে বিএসফ জওয়ানরাও। সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত একটি মামলায়র তদন্তে ইডি-র আধিকারিকরা সন্দেশখালি গিয়েছেন।
ধামাখালির কাছে একটি পাইকারি মাছ বাজার ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে তিন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ রিন্টু মোল্লা, আইনুর মোল্লা ও জানালউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি অধিকারিকরা। তিনজনের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
ইডি সূত্রে খবর, আইনুর ও জামালউদ্দিন মোল্লা সম্পর্কে ভাই। তাদের সঙ্গে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁর মাছ ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিল বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে রিন্টু শাহজাহানের মাছের ব্যবসার ম্যানেজারের শ্যালক। তল্লাশি শুরুর আগেই তিনজনের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিএসএফ জওয়ানরা নদীর পাড়ও ঘিরে ফেলে।
আরও পড়ুন। EDর ওপর হামলার ঘটনায় শাহজাহানের ভাই আলমগির সহ ১২ জনকে তলব CBI-এর
রেশন দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে বন্দি শাহজাহান। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে মাছ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমদানি-রপ্তানি দুর্নীতির তদন্ত। আমদানি-রফতানি দুর্নীতি মামলায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই তদন্তের সূত্রে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছে ইডি।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা সহ মোট ছ’জায়গায় হানা দেয় ইডি। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা সহ মোট ছ’জায়গায় হানা দেয় ইডি। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কিন্তু সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় বাসিন্দাদের। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায় শাহজাহানের সঙ্গীরা। তার পর থেকে ৫৫ দিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে তাঁকে ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দিশে সিআইডি থেকে সিবিআই হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে।
তবে বৃহস্পতিবার তল্লাশির সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন বাহিনীর জওয়ানদের হাতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও দেখা যায়।