সন্দেশখালিকাণ্ডে আক্রান্ত ED আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই দায়ের করা FIR খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ED. বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে বিষয়টি উল্লেখ করেন ED-র আইনজীবী। মামলাটি গ্রহণ করেছেন বিচারপতি মান্থা। বৃহস্পতিবারই মামলার শুনানি হতে পারে।
ইডির তরফে আবেদনে জানানো হয়েছে, দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের আধিকারিকরা। যে আধিকারিকরা আহত হয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতিতে অভিযুক্তের পরিবারের তরফে FIR দায়ের করা হয়েছে। সেই FIRএর ভিত্তিতে ন্যাজাট থানার পুলিশ ED আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে যা ভিত্তিহীন।
ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, পেশাদারি দায়িত্ব পালন করতে শেখ শাহজাহানের বাড়িয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত হেনস্থার মুখে পড়ছেন ইডি আধিকারিকরা। এভাবে চলতে থাকলে ED-র আধিকারিকরা আর তদন্ত করতে যাওয়ার সাহস পাবেন না। দেশে দুর্নীতিবাদজের রাজত্ব কায়েম হবে।
আইনজ্ঞদের মতে, ইডির বিরুদ্ধে শেখ শাহজাহানের বাড়ির স্বঘোষিত কেয়ারটেকারের দায়ের করা FIRএ যে ৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে অন্তত ২টি অভিযোগ ভিত্তিহীন। FIR-এ ইডির বিরুদ্ধে বিনা ওয়ারেন্টে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনজ্ঞরা বলছেন, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। কারণ PLMA আইন অনুসারে ইডিকে কোনও আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিতে হয় না। ইডির আধিকারিকরাই সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, ঘটনার দিন শাহজাহানের বাড়ির তালা ভাঙার আগেই হামলা হয়। ফলে যারা বাড়িতে ঢুকতেই পারল না তারা চুপি করবে কী করে? এছাড়া রয়েছে শ্লীলতাহানির ধারা। আইনজ্ঞরা বলছেন, যাঁর শ্লীলতাহানি হয়েছে তিনি অভিযোগ না করে হঠাৎ শাহজাহান শেখের বাড়ির স্বঘোষিত কেয়ারটেকার অভিযোগ করতে গেলেন কেন?