সন্দেশখালিকাণ্ডে ED আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের FIR-এ ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ED-র দায়ের করা আবেদনের শুনানিততে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই সময়ের মধ্যে ওই FIR নিয়ে কোনও তদন্ত করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। সঙ্গে দরকারে ওই FIRএর ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
এদিন আদালতে ইডি বলে, সন্দেশখালিতে আক্রন্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ন্যাজাট থানায় প্রথম FIR হয় বেলা ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ। সেই FIRএ ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা চুরি। শিশু ও মহিলাদের মারধর ও মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন শেখ শাহজাহানের বাড়ির স্বঘোষিত কেয়ারটেকার। এর পর বেলা ২টো নাগাদ ন্যাজাট থানার SI পিনাকী সরকার এলাকা ঘুরে এসে আরও একটি FIR করেন। তাতে প্রায় ৩০০০ উন্মত্ত জনতা হামলা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও, ইডির বিরুদ্ধে চুরি বা হামলার কোনও অভিযোগ নেই। ২টি FIRএই সই রয়েছে ন্যাজাট থানার ওসি শুভাশিস প্রামাণিকের।
ইডির প্রশ্ন, সকালের শাহজাহান শেখের বাড়ির স্বঘোষিত কেয়ারটেকারের FIRএ চুরি ও মারধরের অভিযোগ থাকলেও পুলিশ আধিকারিকের করা FIRএ কেন তার উল্লেখ নেই। নিজের বাহিনীর আধিকারিক যখন এই ধরণের কোনও অভিযোগ করেননি তখন অন্যের করা FIRএর ভিত্তিতে কী করে ED আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হল? এর পরই ৩১ মার্চ পর্যন্ত শাহজাহানের বাড়ির স্বঘোষিত কেয়ারটেকারের করা FIR এর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি। ২২ জানুয়ারির মামলার পরবর্তী শুনানি। কেন ২টি FIRএ ২ রকম অভিযোগ রয়েছে তা তার মধ্যে হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানাতে বলেছেন বিচারপতি মান্থা। সঙ্গে তিনি বলেন, ২টি FIR দায়েরের সময় হয় OC তথ্যগুলো গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখেননি, নইলে তথ্য গোপন করা হয়েছে। তাই প্রয়োজনে ২টি FIR-এর কপিই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।