সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবু হাজরাকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল বসিরহাট আদালত। এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁকে উদ্দেশ করে ‘চোর চোর’ স্লোগান তোলে জনতা। আদালতে পুলিশ শিবুকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চাইলেও তাঁর ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়নি কেন? প্রশ্ন করায় পড়ুয়াদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেন মত্ত প্রধান শিক্ষক
এদিন আদালতে শিবুকে পেশ করে সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তের স্বার্থে শিবুকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে প্রয়োজন। শিবু একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁকে মুক্তি দিলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে।
পালটা শিবুর আইনজীবী বলেন, পুলিশের অভিযোগে কোথায় গণধর্ষণ হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই। ৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হলেও প্রায় ১ সপ্তাহ পর ১৫ ফেব্রুয়ারি কেন নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করল পুলিশ?
বিচারকের সামনে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শনিবারই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে পুলিশ। তার ২ ঘণ্টার মধ্যে ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় শিবুকে। শনিবার রাতে তাঁকে বসিরহাট থানায় রাখে পুলিশ। রবিবার আদালতে পেশ করার উদ্দেশে শিবুকে থানা থেকে বার করতেই ওঠে চোর চোর স্লোগান। গণধর্ষণ ছাড়াও আদিবাসীদের জমি দখল করে ভেড়ি বানানোর অভিযোগ উঠেছে শিবু হাজরার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: শাহজাহান ধরা পড়ছে না কেন? মুখ খুললেন ডিজি রাজীব কুমার
সন্দেশখালির মহিলাদের দাবি, তৃণমূলের মিটিংয়ের নাম করে রাত বিরেতে মহিলাদের ডেকে নিয়ে যেতেন শিবু হাজরা। কখনও পার্টি অফিসে, কখনও নিজের খামারবাড়িতে ডেকে নিয়ে যেতেন শিবু। সেখানে কিছুক্ষণ বৈঠকের পর কয়েকজন সুশ্রী মহিলাকে বসিয়ে রেখে বাকিদের বাড়ি চলে যেতে বলা হত বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।