রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েও চিঁড়ে ভিজল না। শিলিগুড়িতে রাহুলের কর্মসূচিতে অনুমতি দিতে নারাজ পুলিশ। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে ই-মেল মারফত কংগ্রেসকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফালাকাটার টাউন ক্লাব ময়দানে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল রাহুলের। কিন্তু তিনি হঠাৎ করে দিল্লি ফিরে গিয়েছেন। কারণ, জানা যায়নি। সূত্রের খবর পারিবারিক কারণে তাঁকে দিল্লি ফিরে যেতে হয়েছে।
২৮ জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর শিলিগুড়িতে কর্মসূচি ছিল। তাতে অনুমতি দিতে চাইছে না পুলিশ। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরীক্ষা রয়েছে। ইমেল করে জানানো হয়েছে কংগ্রেসকে। এ নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর ইমেল পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন। ‘বাংলায় জোট না হওয়ার কারণ অধীর চৌধুরী’, এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন ডেরেক
রাহুলের কর্মসূচি অনুযায়ী থানা মোড় থেকে হিলকার্ড রোড দিয়ে ন্যায় যাত্রা এয়ার ভিউ মোড় যাবে। সেখান থেকে যাবে বিহার মোড়। বিহার মোড় থেকে নকশালবাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার কথা। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিতে নারাজ। ফলে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
আসান ভাগাভাগি নিয়ে আগে থেকেই জটিলতা তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূলে। সেই জটিলতা বাড়ে এই ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র। মমতা জানান ইন্ডিয়া জোট শরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে না জানিয়েছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
ড্র্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে কংগ্রেস জানায় ন্যায় যাত্রায় আসার জন্য আগেই মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেত্রীকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে কংগ্রেস বলে, ‘অন্তত পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেও ন্যায় যাত্রার মাহাত্ম্য বাড়বে।’ কিন্তু এই বার্তাতেও রাহুলের যাত্রাপথের মাটি যে নরম হয়নি তা পুলিশের অনুমতি না দেওয়াতে ইঙ্গিত দিল। এর ফলে ইন্ডিয়া জোটের জট বেশ জটিল হল।
এদিকে আবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় কি অংশ নেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী? যে ইঙ্গিত মিলছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ৩০ জানুয়ারি বিহারে ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রার আয়োজন করা হলেও তাতে সম্ভবত অংশ নেবেন না নীতীশ কুমার।
পড়ুন। মমতার পথেই নীতীশ, রাহুলের ন্যায় যাত্রায় যাওয়ার মন নেই বিহারের মুখ্য়মন্ত্রীর, সুর কেটে গেল?