শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে এবার বড় উদ্যোগ। এবার আর শিলিগুড়িতে ওভারহেড বিদ্যুতের তারের কোনও ব্যাপার থাকবে না। সবটাই হবে মাটির নীচে। সূত্রের খবর, বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প।
প্রসঙ্গত এর আগে কোচবিহারেও মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। মূলত যেহেতু কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেকারণেই সেই শহরে বিদ্যুতের লাইন মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তবে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বড় শহর শিলিগুড়ি। প্রচুর পর্যটক দার্জিলিং যাওয়ার জন্য় শিলিগুড়িতেই আসেন। সেই শিলিগুড়িতে এবার বড় পরিকল্পনা।
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে প্রায় ৫৫০ কিমি দীর্ঘ পাওয়ার কেবল মাটির নীচে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ২২০ কোটি খরচ করা হবে। দুর্গাপুজোর পরেই এই কাজ শুরু হতে পারে। জানিয়েছেন মোদী।
গত বুধবার এনিয়ে মেয়র মিটিংও করেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লিমিটেডের ডিরেক্টর শান্তনু বসু এই মিটিংয়ে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
সেই মিটিংয়ে জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এই প্রকল্পের নানা দিক নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। এনিয়ে একটি সমীক্ষাও করা হয়েছে। মূলত কোথা দিয়ে এই তার যাবে তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একেবারে বিশাল উদ্যোগ। কার্যত বদলে যেতে পারে শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবার চালচিত্র। গোটা শহর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্যা বিদ্যুতের পোল। সেসবের আর প্রয়োজন হবে না। সবটাই হবে মাটির নীচে। বিধানমার্কেট, হিলকার্ট রোড, কোর্ট মোড় সহ শিলিগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় আরও উন্নত হবে শিলিগুড়ির বিদ্যুৎ পরিষেবা।
কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় সেদিকেই তাকিয়ে শিলিগুড়িবাসী। এটা শিলিগুড়িবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে শহরবাসীর কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু একবার প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আর কোনও সমস্যার ব্যাপার নেই।