বরাবরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচক প্রবীণ সুব্রহ্মণ্যম। বিশেষ করে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত আগস্টে টুইটারে তিনি মোদিকে তোপ দেগে লেখেন, মোদি ভারতের রাজা নন। সেই সঙ্গে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে তাঁর। এছাড়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বিরুদ্ধেও সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আসলে দু’বার মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেলেও মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। সমালোচকদের দাবি, সেই কারণেই তিনি এভাবে সরব কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এর আগেও পছন্দের মন্ত্রক না পেয়ে সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ফলে দলের ৮০ সদস্যের কার্যসমিতির কমিটির তালিকা থেকে তাঁর বাদ পড়া খুব আশ্চর্য হচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, নতুন তালিকায় ঠাঁই হয়নি বরুণ গান্ধী ও মানেকা গান্ধীরও। পাশাপাশি প্রহ্লাদ প্যাটেল ও রাও ইন্দরজিৎ সিংয়ের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামও নেই কমিটিতে।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বরুণ গান্ধী , আবার লখিমপুর খেরির ঘটনার লাগাতার প্রতিবাদ জানিয়ে গিয়েছেন তিনি। এবার দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি বা জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়লেন উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদ বরুণ গান্ধী । কমিটি থেকে বাদ পড়লেন সাংসদের মা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধীও। সাম্প্রতিক জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।