Surat Diamond Bourse: বিশাল হীরের ভাণ্ডার ভারতের এই অফিস বিল্ডিং। সুরাত ডায়মন্ড বোর্স, হীরে বাণিজ্যের দুয়ার। জানেন এই বিল্ডিং এর ১৫ তলা জুড়ে কী কী ঘটবে? আমেরিকাও হাঁ হয়ে গেল, পেন্টাগনের ঘাটতি কোথায়? ভারতেই সম্ভব, আমেরিকা থেকে ৮০ বছরের মুকুট ছিনিয়ে আনলেন নরেন্দ্র মোদী। রাশি রাশি হীরে, সুরাতে বড় কিছু ঘটছে। ৬৫ হাজার হীরের ব্যবসায়ীর “ওয়ান স্টপ ডেস্টিনেশন”।মার্কিনি পেন্টাগনকে ছাপিয়ে গেল ভারত। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠলো “সুরাত ডায়মন্ড বোর্স”। ৩৫ একর জমির উপর একটা ১৫ তলার বিশালাকার বিল্ডিং।
না, সাধারণ কোনও কমপ্লেক্স নয়। সুরাতের এই বিল্ডিংই ভবিষ্যতের হীরে বাণিজ্যে হাব। গত ৮০ বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম অফিসের মুকুট ছিল পেন্টাগনের কাছে। এই অফিস বিল্ডিং-ই সেই মুকুট ছিনিয়ে নিল। ৯ টা আয়তাকার ক্ষেত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিল্ডিং। প্রত্যেকটা একে অপরের সঙ্গে কানেক্টেড ভেতর থেকে। প্রায় ৭.১ মিলিয়ন বর্গফুট এলাকা নিয়ে ফ্লোর স্পেস গঠিত হচ্ছে। ২০ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে একটা বিনোদন এবং পার্কিং জোন রয়েছে। নতুন এই ভবন হাজার হাজার মানুষকে ব্যবসা করার দুর্দান্ত সুযোগ দেবে। শুধু হীর ব্যবসায়ী নয়, এর মধ্যে থাকবেন হীরে পলিশ এবং কাটার কর্মীরাও। এককথায় হীরে বাণিজ্যের মহাযজ্ঞ শুরু হতে যাচ্ছে মোদীর হাত ধরে। কে না জানে সুরাত বিশ্বের রত্ন ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত। যেখানে পৃথিবীর ৯০ শতাংশ হীরে কাটা হয়। তাছাড়া দেশের মধ্যে সুরাতকে হীরা ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। আগামীদিনে যা ভারতকে হীরে বাণিজ্যে ক্ষেত্রে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে।
সেখানেই এবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভবন সুরাত ডায়মন্ড বোর্স। যে বিরাট ভবনটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ৪ বছর। কিন্তু পেন্টাগনের সঙ্গে কোনো প্রতিযোগিতা করে তৈরি হয়নি, সুরাত ডায়মন্ড বোর্স। বরং চাহিদার উপর ভিত্তি করেই প্রজেক্টের আকার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই ভবন তৈরি করার জন্য জন্য এর আগে একটি ইন্টারন্যাশনাল ডিজাইন কম্পিটিশন এর আয়োজন করা হয়েছিলে। ভারতীয় স্থাপত্য সংস্থা ‘মরফোজেনেসিস’ এই ভবনের নকশা তৈরি করে। ইতিমধ্যেই সমস্ত অফিস বিক্রি হয়ে গেছে। হীরে সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই তাদের জায়গা কিনে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই ভবনের উদ্বোধন করবেন। তারপরেই সুরাতে গড়ে ওঠা বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস কমপ্লেক্স এর পথ চলা শুরু হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়