২২ জানুয়ারি। রথী-মহারথীরা জড়ো হবেন অযোধ্য়ায়। রামমন্দিরের উদ্বোধন বলে কথা! খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কি সেদিন অযোধ্য়ায় যাবেন?
সূত্রের খবর, ওই দিন অযোধ্য়ায় যাবেন না শুভেন্দু। সকালের দিকে নন্দীগ্রামে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। তারপর কলকাতায় গিরিশ পার্কের রাম মন্দিরের পুজো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। তবে আগেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ২২শে জানুয়ারি সকলের অযোধ্য়ায় আসার দরকার নেই। নিজের এলাকায় প্রদীপ জ্বালানো, বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলা হয়েছিল।
তবে অযোধ্য়ায় না গেলেও সেদিন শুভেন্দুর একাধিক কর্মসূচি থাকছে। সন্ধ্যায় টালিগঞ্জে রাম মন্দির সংক্রান্ত একটা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
এদিকে রামমন্দিরকে ঘিরে গোটা দেশ জুড়েই নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দিরের নাম করে পালে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এমনটাও বলছেন অনেকে। তবে বাংলাতেও রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে আবেগকে উসকে দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টার কোনও ত্রুটি করছে না বঙ্গ বিজেপি।
ওই দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়িতে বাড়িতে যাতে প্রদীপ জ্বালানো হয়, মিছিল বের করা হয়, পুজো পাঠ করা হয় তার জন্য় সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বড় স্ক্রিনের মাধ্য়মে এই প্রোগ্রাম দেখানো হবে।
এদিকে অযোধ্য়া ও সংলগ্ন এলাকাতেও একেবারে সাজো সাজো রব। এদিকে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছিলেন, ‘২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ছিল। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে জয় এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের ১ লাখ সেনাকে বন্দি করার ঘটনার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ রামমন্দির উদ্বোধন।’ তাঁর কথায়, ‘রামমন্দির গোটা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।’
এদিকে ওইদিনের অনুষ্ঠানে বেদান্ত গ্রুপের অনিল আগরওয়াল, পিরামল এন্টারপ্রাইজের অজয় পিরামল, রেমন্ড গ্রুপের গৌতম সিংহানিয়া, টিভিএসের চেয়ারম্য়ান এমিরিটাস বেনু শ্রীনিবাসন এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকবেন।
ভারত ফোর্জের বাবা কল্য়াণী, অমিত কল্যাণী, এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যালসের সিইও সতীশ মেহেতা সহ অনেকেই এই আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন।