একদিকে সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা, অন্যদিকে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই চোপড়ায় ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনায় তারা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া সন্দেশখালির মতোই চোপড়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সেই চোপড়াতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সুত্রের খবর আজ সোমবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে তিনি দার্জিলিং মেলে চরে কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। সেখান থেকে সড়ক পথে তিনি চোপড়া পৌঁছাবেন আগামীকাল মঙ্গলবার।
আরও পড়ুন: চোপড়ায় শিশুমৃত্যু নিয়ে BSF-কে দুষে রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূলের
চোপড়ায় ইতিমধ্যেই মৃত ৪ শিশুর পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিকে, তৃণমূলের তরফে চোপড়া নিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল আগেই গঠন করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, উদয়ন গুহ এবং কুণাল ঘোষের মতো নেতা-মন্ত্রীরা। এছাড়াও রয়েছেন, সাংসদ দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল প্রমুখ। প্রসঙ্গত, শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা পুরো ঘটনার জন্য বিএসএফকে দায়ী করেছিল। কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সোমবার চোপড়ায় নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের সোমবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ এলাকায়। ওই এলাকায় এর আগেও ড্রেন ছিল। তবে সেই ড্রেন খুঁড়ে আরও গভীর করা হচ্ছিল। বিএসএফের নির্দেশে জেসিবির সাহায্যে সেই কাজ করা হচ্ছিল। তখনই সেখানে মাটি চাপা পড়ে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বিএসএফের জওয়ানরা তাদের উদ্ধার করে চোপড়ার দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ড্রেন গভীর করার জন্য জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে ট্রাক্টরে করে তা তুলে অন্য জায়গায় চাপা দিয়ে রাখা হচ্ছিল। ওই শিশুরা সেই মাটির স্তুপে খেলতে গিয়েই চাপা পড়ে মারা যায়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসএফ। তাদের বক্তব্য, গ্রামবাসীরাই মাটি জমা করে রেখেছিলেন।