ত্রিপুরার বাম নেতাদের এবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বিজেপিকে পবিত্র গঙ্গার সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী রবিবার জানিয়েছেন, আমাদের দল অনেকটা গঙ্গার মতো। এখানে স্নান করুন। সমস্ত পাপ থেকে আপনি মুক্ত হয়ে যাবেন। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণ ত্রিপুরার কাকরাবনে একটি জনসভায় বক্তব্য় রাখার সময় তিনি বলেন, বিজেপি ভোটে জিতবে এব্য়াপারে আমি নিশ্চিত। তিনি বলেন, আমি আবেদন করছি যারা এখনও স্ট্যালিন বা লেনিনের আদর্শ মেনে চলেন তারা আমাদের বিজেপিতে যোগ দিন। বিজেপি অনেকটা গঙ্গা নদীর মতো। এখানে স্নান করলে আপনার সমস্ত পাপ ধুয়ে যাবে। জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ট্রেনের কামরা এখন ফাঁকা রয়েছে। সেই ফাঁকা বগিতে বসে পড়ুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপনাকে নির্দিষ্টি গন্তব্যে নিয়ে চলে যাবেন।
সিপিএমকে নিশানা করে তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে সিপিএম মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে দাবিয়ে রেখেছিল। কমিউনিস্ট জমানায় ত্রিপুরায় কোনও গণতন্ত্র ছিল না। তারা শুধু হিংসায় বিশ্বাস করতেন। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় অন্তত ৬৯ বিরোধী নেতা বাম জমানায় খুন করা হয়েছিল। এই ককরাবনেও একের পর এক রাজনৈতিক খুন হয়েছিল।
তিনি বলেন, জনবিশ্বাস কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৮ সালের ভোটে ত্রিপুরার বাম দুর্গ একেবারে ভেঙে গিয়েছিল। এই জনবিশ্বাস কর্মসূচির পরে সিপিএমকে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যাবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বাংলায় তৃণমূলকে হঠাতে তলায় তলায় বাম বিজেপির বোঝাপড়া নিয়ে নানা কানাঘুষো চলছে। এমনকী সম্প্রতি বামেদের প্রশংসাও করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সিপিএমের সকলে যে খারাপ নয় একথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে আগামী নির্বাচনে তলায় তলায় বাম বিজেপির মধ্যে বোঝাপড়া কতটা হবে তা সময়ই বলবে। তবে এবার ত্রিপুরায় অন্য ছবি। সেখানে বিজেপির পয়লা নম্বর শত্রু বামেরা। সেই বামেরা যাতে মাথা তুলতে না পারে সেজন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে শাসক বিজেপি। এবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে সব পাপ ধুয়ে ফেলার জন্য আহ্বান জানালেন খোদ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন আগামী দিনে সিপিএমকে কার্যত আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে বামেরা বিজেপির এই আহ্বানে কতটা সাড়া দেয় সেটাই এখন দেখার।