অনেকদিন ধরেই ত্রিপুরায় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধায়ক আবাসন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ বর্তমানে যে দু’টি বিধায়ক হোস্টেল রয়েছে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির অবস্থা থাকার প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় এসেই আগে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা শুরু করে। তারপর পূর্ত দফতরকে দিয়ে নয়া বিধায়ক আবাসন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। অবশেষে হল নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনের গৃহপ্রবেশ।
শুক্রবার রাজধানীর ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত মহাকরণ সংলগ্ন নবনির্মিত বিধায়কদের আবাসনের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ‘এই আবাসনে সব দলের বিধায়ক এক ছাদের নীচে মনোরম পরিবেশে থাকবেন। এতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে আরও গতি আনতে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সচিবালয় সংলগ্ন স্থানে তৈরি এই বিধায়ক আবাসন সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন- রাস্তাতেই হাজার হাজার মানুষ ঘিরে ধরলেন অভিষেকের গাড়ি, পরের কাণ্ড চমকে দেবে
আরও পড়ুন- সর্বনাশ! বার্গারের ভিতরে ওটা আবার কী, এক কামড় দিতেই যা কাণ্ডটা হল
অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দু’টি বিধায়ক হোস্টেল ছিল। এরমধ্যে যারা সরকারে থাকবেন তাঁরা একটিতে থাকতেন। আর যারা বিরোধী আসনে তাঁদের জন্য অপর হোস্টেল বরাদ্দ থাকতো। এক্ষেত্রে একটা বিভাজন দেখা দিত। তবে এই নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনে সরকার বিরোধী সকল বিধায়কগণ একই হোস্টেলে থাকবেন। এতে সরকার ও বিরোধী সকল বিধায়কদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবে।’ নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন গৃহপ্রবেশ উপলক্ষে পূজার্চনায় শামিল হন মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ, অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়, বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা, মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায় সহ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকগণ। নবনির্মিত বিধায়ক ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকার অধিক। এদিন বিধায়কদের হাতে নবনির্মিত ভবনের চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনে ৪৫ জন বিধায়ক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
আবীর ঘোষাল
Tags: Manik Saha