শহরজুড়ে তৈরি করা হচ্ছে ৪০০ টি নতুন সুলভ শৌচালয়। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ শৌচালয় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ থাকবে। বাকি ৭০ শতাংশ শৌচালয় পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য থাকবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই এই শৌচালয়গুলি তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শৌচালয় নির্মাণে পিছিয়ে বাংলা, উজ্জ্বল ব্যতিক্রম পূর্ব মেদিনীপুর
মূলত যেখানে বাজার, শপিং জোন এবং হাসপাতাল রয়েছে সেখানে মহিলাদের জন্য এই শৌচালায় নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা র। আর মহিলাদের নিরাপত্তায় এই সুলভ শৌচালয়গুলিতে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেবেন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীরা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কেএমসি সক্রিয়ভাবে এই শৌচাগারগুলি তৈরি করার জন্য জমির সন্ধান করছে। ইতিমধ্যেই ১১টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি জানান, যেখানে মহিলারা কাজ করতে যান বা বাজার করতে যান বা শপিং জোনে জমি দরকার। এই এলাকায় মহিলারা অসহায় বোধ করেন কারণ তাঁরা এখানে স্বাস্থ্যকর টয়লেট খুঁজে পান না। তাই পুরসভার তরফে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই শৌচালয়গুলি প্রথাগত পে-এন্ড-ইউজ শৌচালয়ের থেকে আলাদা। এই শৌচালয়গুলি অত্যাধুনিক মানের করা হচ্ছে।
এই শৌচালয়গুলি হতে চলেছে অত্যাধুনিক। অভিনব দেখতে করা হচ্ছে মহিলাদের জন্য অত্যাধুনিক শৌচালয়কে। সেক্ষেত্রে দূর থেকে দেখলে মনে হতেই পারে সেগুলি কোনও ক্যাফে বা রেস্তোরাঁ। এর পাশাপাশি আরও অনেক সুবিধা থাকছে এই শৌচালয়গুলিতে। সেক্ষেত্রে এই শৌচালয়গুলির দরজা অন্যান্য শৌচালয়ের আলাদা করা হবে। এছাড়াও মহিলাদের জন্য সুন্দর সিঁড়ির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মায়েদের সুবিধার জন্য শিশুদের দেখাশোনায় আলাদা জায়গার ব্যবস্থাও থাকছে এই শৌচালয়গুলিতে। স্নানঘর ছাড়াও মহিলাদের জন্য থাকছে একটি পোশাক পরিবর্তন করার রুম। এর পাশাপাশি মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিনও বসানো হবে।
এসব ব্যবস্থা ছাড়াও, বাথরুমে শাওয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। শিশুদের স্তন্যপান করার পৃথক ঘর এবং শিশুদের দেখভালের ব্যবস্থা থাকবে। এরফলে মায়েরা খুবই উপকৃত হবেন বলে মনে করছে পুরসভা। উল্লেখ্য, সুলভ শৌচালয় নেই এমন জায়গায় পুরুষ ও মহিলাদের জন্য দুটি মোবাইল শৌচালয় চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও শৌচালয় তৈরি করা যেতে পারে।