বেঙ্গালুরু: এ এক স্বপ্নপূরণের গল্প, তবে গল্প শব্দটা বোধহয় ব্যবহার না করাই ভাল৷ একটি অবিশ্বাস্য বিষয় সত্যি করে তুললেন লোকেশ কুমার৷ ২৯ বছরের সুইগি ডেলিভারি বয়, এখন নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দলের নেট বোলার৷ আশ্চর্যজনক পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে তিনি এখন নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দলের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট স্টাফ হয়ে উঠেছেন। যদি পরিশ্রম, অধ্যাবসায় আর স্কিল এক জায়গায় আসে তাহলে মিরাকেল আজও হয়, এটাই হয়েছে বেঙ্গালুরু সুইগি ডেলিভারি বয়ের৷
আর পাঁচটা দিনের মতো সোমবারও যখন লোকেশ কুমার নিজের সুইগি ডেলিভারি বয়ের কাজ করে খাবার সরবরাহ করছিলেন৷ তিনি তখনও জানতেন না যে নিয়তি তাঁর জন্য অসাধারণ কিছু তুলে রেখে দিয়েছিল। তাঁর জীবনের গল্পে ট্যুইস্ট আসে যখন নেদারল্যান্ডসের নেট বোলার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়৷ এই মুহূর্তে তাঁরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। একজন ডেলিভারি বয় থেকে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হওয়া লোকেশের প্যাশন, অধ্যাবসায় ও ক্রিকেটীয় দক্ষতার প্রমাণ।
আরও দেখুন – বাংলাদেশ থেকে ঢুকলো ঝকঝকে রুপোলি ইলিশ, কামাল মাছের ধামাল ভিডিও
লোকেশ কুমার গত চার বছর ধরে সুইগিতে ফুড ডেলিভারির কাজ করছিলেন, কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি আবেগকে ছাড়েননি৷ ডাচ দলের হয়ে নেট বোলার হওয়ার পথে তার যাত্রা শুরু হয় যখন নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের আগে স্পিন টেস্টের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য প্রতিভাবান নেট বোলারদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্পেশাল পোস্ট করে। এই বিজ্ঞাপনটিই লোকেশের অবিশ্বাস্য স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ ছিল৷
বাছাই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ছিল, প্রায় ১০,০০০ আবেদনকারী নেট বোলারের কাঙ্ক্ষিত পদের জন্য অ্যাপ্লাই করেছিল। আবেদনকারীদের প্রত্যেকেই নিজেদের বোলিং দক্ষতা সহ ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল। প্রতিভার এই বিশাল পুলের মধ্যে, লোকেশ কুমারের ভিডিওটি ডাচ দলের নির্বাচকদের নজর কেড়েছে। তাঁর বাঁহাতি চায়নাম্যান ডেলিভারি এবং অনন্য বোলিং অ্যাকশন তাঁদের মুগ্ধ করেছিল৷ বিশ্বকাপের সময় ভারতের স্পিনফ্রেন্ডলি পিচের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য দলকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে এমনটা ভেবেই লোকেশে সিলমোহর দেয় নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দল৷
লোকেশ কুমার অবিশ্বাস্য সুযোগে অভিভূত৷ তিনি নেদারল্যান্ডস দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, “এটি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম মূল্যবান মুহূর্ত। আমি এখনও টিএনসিএ তৃতীয় বিভাগ লিগে খেলতে পারিনি। আমি চার বছর ধরে পঞ্চম বিভাগে খেলেছি, এবং আমি বর্তমান সই করেছি। নেদারল্যান্ডস নেট বোলার হিসেবে বাছাই করার পর, আমি মনে করি আমার প্রতিভা শেষ পর্যন্ত স্বীকৃতি পেয়েছে।”
Tags: 2023 world cup, ODI world cup 2023, Swiggy