এ যেন রানি আর হলুদের মেলবন্ধন! সেই সঙ্গে রয়েছে চিরাচরিত ঐতিহ্যবাহী সাজপোশাক আর গয়নাও! সারিতে দাঁড়িয়ে নৃত্যে রত যেন এক ঝাঁক তারা! প্রত্যেকের হাতেই একটা করে ডমরু। সেই ডমরু বাজিয়েই ভরতনাট্যম নৃত্যশৈলীতে মুখর হয়ে উঠেছিলেন এক ঝাঁক নৃত্যশিল্পী! যা বিশ্বব্যাপী এক বড়সড় রেকর্ড গড়ল। এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল পুদুচেরি সরকারের পর্যটন বিভাগ এবং সঙ্গমম গ্লোবাল অ্যাকাডেমি।
এমনিতে ভারতের শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুনাম বিশ্বজোড়া। আর ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য কিংবা সঙ্গীতের সমাদরের কথাই বা কে না জানেন। ভারতের ধ্রুপদী নৃত্যের মধ্যে অন্যতম হল ভরতনাট্যম। এই নৃত্যকলার মধ্যে থাকে ভাব, রাগ এবং তালের এক অপূর্ব সমন্বয়। যা যুগ যুগ ধরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর তাঞ্জোর প্রদেশ হল ভরতনাট্যমের উৎপত্তিস্থল। তবে দক্ষিণের রাজ্যে উৎপত্তি হলেও বর্তমানে সারা দেশে এমনকী গোটা বিশ্বেই এই নৃত্যশৈলীর চর্চা হয়ে থাকে। প্রথম দিকে মূলত মন্দিরে দেবদাসীরাই এই নৃত্য পরিবেশন করতেন। কিন্তু দেবদাসী প্রথা লোপ পাওয়ার পর থেকে এই নৃত্যশৈলী সাধারণ নারী-পুরুষরাও চর্চা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কী রয়েছে এই পেঁয়াজিতে! দোকান খুলতেই লাইন দিয়ে আসছেন ক্রেতারা, ফাঁস হল সিক্রেট
আরও পড়ুন: মোকা সব থেকে বেশি ক্ষতি করবে এই দুই জায়গার! বাংলার ভাগ্যে কী রয়েছে আগামী দুদিন!
এদিকে পুদুচেরির ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র হল ডমরু বা উদুক্কাই। সেই ডমরু বাজিয়ে ভরতনাট্যম নৃত্যকলা এবং নৃত্যশৈলীকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যেই মূলত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পুদুচেরি সরকারের পর্যটন বিভাগ এবং সঙ্গামম গ্লোবাল অ্যাকাডেমি। এখানেই শেষ নয়, এই অনুষ্ঠানের জন্য অন্যতম লক্ষ্য ছিল বিশ্ব রেকর্ড গড়া। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতের তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরল-সহ অন্যান্য রাজ্যের এমনকী মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ভরতনাট্যম শিল্পী।
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করেছিলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী এন রঙ্গস্বামী এবং পর্যটন মন্ত্রী। এর পর একটানা প্রায় ৮ মিনিট ধরে ডমরু বাজিয়ে ভরতনাট্যম নৃত্যশৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে তৈরি হল বিশ্ব রেকর্ড। ইউনিক বুক অফ রেকর্ডসে এই উঠে এসেছে এই পারফরমেন্সের কথা। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে এই নতুন রেকর্ডের একটি শংসাপত্রও।