বিশ্ব আদিবাসী দিবসে টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই উপলক্ষে মঙ্গলবারই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এটাই তাঁর প্রথম জেলা সফর। ওই দিন আদিবাসী ও কুড়মি সমাজের নেতৃত্বে সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বাংলার সংস্কৃতির আচ্ছাদন বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সুতোয় বোনা। আদিবাসীদের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আসুন, তাঁদের প্রাণবন্ত শিল্প কলা ও ঐতিহ্য উদযাপন করি, যা আমাদের রাজ্যের পরিচয়কে সমৃদ্ধ করে। আসুন আদিবাসী ভাইদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করি। ভাষা, গোষ্ঠী, ধর্ম ও বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা করুক। কারণ এটা কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিষয় নয়। মানবতার বিষয়। জয় জোহার।’
একই বক্তব্য উঠে এসেছে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটেও। তিনি লিখেছেন,’আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে আসুন আমরা পশ্চিবঙ্গের বৈচিত্র্য ও অগ্রগতির প্রতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানকে স্বীকৃতি দিই। ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করি যা তাঁদের অধিকারকে রক্ষা করে এবং তাঁদের স্বতন্ত্রতাকে উদযাপন করে। জয় জোহর।’
(পড়তে পারেন। ঘুরে গেল কুড়মি সমাজের নেতারা, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কোন কথা হল দু’পক্ষের?)
পঞ্চায়েত নিবার্চনের আগে কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয় জঙ্গলমহল। টানা রেল, রাস্তা অবরোধে জেরবার হয় জনজীবন। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশ কিছু জায়গায় প্রার্থীও দেয় কুড়মিরা। ভোট মিটতেই জঙ্গলমহল সফরে ঝাড়গ্রামে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন কুড়মি নেতাদের সঙ্গে। বৈঠকের পর রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসার করেন তাঁরা।
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের জেলা নেতৃত্ব ঢাঙ্গা হাঁসদা বলেন,’আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমের বিদ্যালয় ও কলেজ চালু করার জন্য জানিয়েছি। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে পারপস্পরিক সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য তিনি যে ভাবে কাজ করেছেন তার জন্য আমরা তাঁর ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাকেশ মাহাত বলেন, ‘করম পরবে পূর্ণ দিবস ছুটি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। কুড়মি জাতিকে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করার জন্যও আমরা তাঁকে আবেদন জানিয়েছি।’