বৃহস্পতিবার রাত। ঘটনাস্থল গোবরডাঙা স্টেশন। এক যুবক ট্রেন থেকে নেমেছিলেন। কিন্তু কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি ট্রেন থেকে নেমেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের নীচে গিয়ে রেললাইনের উপর শুয়ে পড়েন। এদিকে এই ছবি দেখে ছোটাছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরা। কারণ ট্রেন ছেড়ে দিলে তো ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে যাবে।
এরপর ট্রেন চালককে খবর দেওয়া হয়। ট্রেন কিছুক্ষণ থামে। যাত্রীরা নেমে কোনও রকমে ওই যুবককে ট্রেন লাইনের নীচে থেকে বের করে আনেন। ততক্ষণে যাত্রীদের ভিড় জমে গিয়েছে। বনগাঁ জিআরপি ওই যুবককে গোটা ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তিনি সেভাবে কিছু বলতে পারেননি। এখন প্রশ্ন তিনি কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটালেন?
সূত্রের খবর, ওই যুবকের চোখের কিছু সমস্যা রয়েছে। জন্মগতভাবেই তাঁর এই সমস্যা রয়েছে। তিনি বারুইপুর এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু স্টেশন ধরে সোজা না হেঁটে কেন ট্রেনের তলায় চলে গেলেন, রেললাইনে শুয়ে পড়লেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি মানসিক কোনও অবসাদে ভুগছেন ওই যুবক? তবে জিআরপি গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছেন। কেন তিনি এই ঘটনা ঘটালেন সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি যে প্রাণে বেঁচেছেন এটা বড় কথা। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তাঁর উপর দিয়ে ট্রেন চলে যেতে পারত তবে যাত্রীরা দ্রুত এনিয়ে পদক্ষেপ নেন। তারাই ট্রেনের চালক ও গার্ডকে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ করেন। এরপর ট্রেনটি দাঁড় করানো হয়। পরে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়।
তবে মেট্রোতে মাঝেমধ্য়েই লাইনে আত্মহত্যার কথা জানা যায়। সম্প্রতি চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু চালক একেবারে শেষ মুহূর্তে ব্রেক কষেন। তার জেরে বেঁচে যান ওই তরুণী। তবে এই ঘটনার জেরে যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল। তার জেরে সমস্যায় পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা।
তবে আশার কথা একটাই যে ওই তরুণী বেঁচে গিয়েছেন। তাকে মেট্রোর লাইন থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, আচমকাই ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ে মেট্রো। এরপর ওই তরুণীকে রেললাইন থেকে তোলা হয়। তবে যতীন দাস পার্ক স্টেশন থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ।