আজ বিজেপির ব্রিগেড জনসভা। প্রধান বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে কী বার্তা দেন মোদী, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা। ইতিমধ্যেই ব্রিগেড গ্রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। জোর জল্পনা, এদিনই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি।
রবিবার মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে নিজেদের অতীতের সঙ্গে তুলনা নয়, ভিড়ের অঙ্কে অন্য দলের ‘নজির’ ভাঙাই লক্ষ্য বিজেপি-র। তবে গেরুয়া শিবির সেটাও মানতে চাইছে না। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রত্যয় ভরা দাবি, ‘‘রবিবারের সমাবেশের এমন চেহারা হবে, অতীতে যার কোনও নজির নেই।’’ মোদীকে চমকে দেওয়াই শুধু নয়, সেই সঙ্গে অমিত শাহকেও খুশি করতে হবে। কারণ, তাঁর নির্দেশেই চলছে নীলবাড়ির লড়াইয়ে যাবতীয় কর্মসূচি। অমিতের থেকে সম্মানজনক ‘গ্রেড’ পেতে হবে রাজ্য নেতৃত্বকে।
জল্পনা শোনা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে হাজির থাকতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়, অক্ষয় কুমার। কৈলাস বিজয়বর্গীয় সে জল্পনা উড়িয়ে জানিয়ে দিলেন, এদিন তাঁরা থাকছেন না। অন্যদিকে বেলগাছিয়ায় বন্ধুর বাড়ি থেকে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের পথে রওনা দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ধুতি, পাঞ্জাবি পরে একেবারে ‘বাঙালি বাবু’ সেজে নরেন্দ্র মোদীর জনসভার দিকে রওনা দিলেন তিনি। গাড়ির একদম সামনের আসনে বসে মিঠুন। পিছনে স্লোগান উঠছে মহাগুরুর নামে।
একদিকে যখন মিঠুন ব্রিগেডে পৌঁছেছেন, অন্যদিকে তখন সভায় পৌঁছতে শুরু করেছেন যশ দাশগুপ্ত, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রিমঝিম মিত্র, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়রা। শনিবার রাতেই কলকাতায় পৌঁছেছেন মিঠুন। রাতেই তাঁর বিস্তারিত কথা হয়েছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে। তাঁদের সাক্ষাতের ছবিও টুইট করেছিলেন কৈলাস। কলকাতায় পৌঁছে মিঠুন বলেছিলেন, ব্রিগেডে ‘অন্য কিছু’ হবে। আপাতত সেই ‘অন্য কিছু’র প্রত্যাশায় ব্রিগেড জনতা।