ব্রিসবেনে অজিদের প্রথম ইনিংসের খেলা ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় দিনে ভারতীয়রা ২ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তুলেছিল। সেখান থেকে তারা তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে। পূজারা-রাহানে জুটি প্রথম দিকে কিছুটা লড়াই করার পরে প্রথমে পূজারা এবং তার কিছুক্ষণ পরেই রাহানের উইকেট হারায় ভারত।
মায়াঙ্ক এবং পন্থ দুজনে মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ে তুললেও বেশি দূর তারা ভারতের ইনিংসকে এগোতে পারেননি। ফলে ২০০ রান বোর্ডে ওঠার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে তখন ভারত ধুঁকছে। আদৌ ২৫০ রানের গন্ডিও ভারত পার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তখন চরম সংশয় দেখা দিয়েছে। উইকেটে তখন ভারতের হয়ে রয়েছেন দুই নবাগত ওয়াশিংটন সুন্দর ,যার আবার এটাই অভিষেক ম্যাচ এবং শার্দুল ঠাকুর যার এটি দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি। কিন্তু দুজনে মিলে জুটিতে যে ব্যাটিংটা শুরু করলেন তাতে অজি বোলারদের তখন খেই হারানোর অবস্থা। দিশেহারা কামিন্স,হ্যাজেলউড,স্টার্করা তখন বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে এই জুটিকে ভাঙবেন। অবশেষে ১২৩ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৬৭ রানের মাথায় বোল্ড আউট হয়ে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের নিদর্শন স্থাপন করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন শার্দুল ঠাকুর।
১১৫ বল খেলে ৯টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তার এই ইনিংস সম্বন্ধে বলতে গিয়ে শার্দুল ঠাকুর জানান ‘আমি যখন ব্যাট করতে নামি তখন পরিস্থিতি আমাদের জন্য একেবারেই অনুকূল ছিল না। অজি দর্শকরা ওদের বোলারদের উজ্জীবিত করতে গলা ফাটাচ্ছিল। তখন ওরা অ্যাডভান্টেজের জায়গায় ছিল। আমি মনে করতে পারি টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে আমার কোচ রবি শাস্ত্রী আমাদেরকে বলেছিল তুমি যদি এই দেশে এস পারফরম্যান্স করতে পার তবে তার পুরস্কার তুমি পাবেই। মানুষের অঢেল ভালবাসা তুমি পাবে। সেই কথাটা আমার মাথায় সবসম। থাকত। আজ যখন ব্যাট করতে নামছিলেন তখন বারবার কোচের সেই কথাটাই যেন বারবার আমার কানে বাজছিল। আমি জানতাম আমি ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স করতে পারলে তা দলের জন্য খুব সহায়ক হবে। আমি জানি ভাল ব্যাট করার ক্ষমতা আমার আছছ। আর এই মূহুর্তগুলোতে তা কাজে লাগাতেই আমরা নেটে ঘাম ঝরাই।’