নয়াদিল্লি: ভয়াবহ কাণ্ড দক্ষিণ দিল্লির নবসরাই এলাকায়৷ সেখানে শাশুড়িকে ফ্রাইং প্যানের বাড়ি মেরে হত্যা করেছে বৌমা৷ শাশুড়ির বয়স ৮৬ বছর৷ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে এদের দু’জনের মধ্যে কোনও একটি সমস্যা চলছিল৷ সেই কারণেই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এভাবেই৷ মৃত মহিলা আর্থারাইটিসের রোগী ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ৷
গত ২৮ এপ্রিল এক ব্যক্তি পুলিশে জানায়, তাঁর বন্ধুর মা ফ্ল্যাটে পড়ে গিয়েছেন, এবং রক্তস্নাত অবস্থায় পড়ে আছে৷ যে ফ্ল্যাটে এই ঘটনা সেই নব সরাইয়ের ফ্ল্যাটে ২০১৪ সাল থেকেই আছেন সুরজিৎ সোম তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা সোম ও তাঁদের ১৬ বছরের মেয়ে৷ এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এই পরিবারটি আদতে কলকাতার বাসিন্দা৷ ছেলের মা দীর্ঘদিন ধরে কলকাতায় একা ছিলেন৷ ২০২২ সালে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে আসে ছেলে৷ নিজের ফ্ল্যাটের সামনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে তাঁর থাকার ব্যবস্থাও করে দেন৷
আরও পড়ুন: তিনশো টাকা কেজি, হাত দেওয়াই দায়! হঠাৎ কেন এতটা বেড়ে গেল আদার দাম?
আরও পড়ুন: খালি গলায় নেপালি যুবকের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত! পাহাড়ি টানে কবিগুরুর গান মুহূর্তে ভাইরাল নেটপাড়ায়
এই ঘটনার পর পুলিশ যখন ফ্ল্যাটে পৌঁছয়, দেখে তাঁর রান্নাঘরে পড়ে রয়েছে হাসি সোম. যাঁর বয়স ৮৬ বছর৷ তাঁর মাথায় ও মুখে একাধিক চোটের চিহ্ন রয়েছে৷ সেই সময়ে ছেলে বলেন, তাঁর মায়ের আর্থারাইটিস আছে, চলতে ফিরতে সমস্যা হয়৷ তার পর ওই বৃদ্ধার বেডরুমে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা পাওয়া যায়, কিন্তু সেটির কোনও স্টোরেজ ডিভাইস ছিল না৷ সুরজিত জানান, তাঁর ক্যামেরা ঠিক মতো কাজ করছে না৷
কিন্তু দেহ ময়নাতদন্তের সময়েই দেখা যায়, সাধারণ পড়ে যাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষতগুলি তৈরি হয়নি৷ পুলিশ তারপর তদন্ত করে জানতে পারে, ঘটনার সময় একমাত্র সুরজিতের স্ত্রী ফ্ল্যাটে ছিলেন৷ সুরজিত পরে পুলিশের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি সিসিটিভি ক্যামেরার মেমরি কার্ড ইচ্ছা করে খুলে নিয়েছিলেন৷ তার পর ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ওই মহিলা বৃদ্ধা শাশুড়ির ফ্ল্যাটে ঢুকছেন, রান্না ঘরে যাচ্ছেন, তারপর ফ্রাইং প্যানের বাড়ি মেরে মাথা ফাটিয়ে খুন করছেন৷
Tags: Crime