গ্রীসের বন্দরে মোদীর বিশেষ নজর ব্যাপক লক্ষ্মীলাভের আশা। এক ট্রিকেই ইউরোপ আসবে দিল্লির হাতের মুঠোয় চীন কুপোকাত। গ্রীসের পোর্টগুলোয় আদানি কেন নজরে রাখছে। মাত্র ২৪ ঘন্টায় কী প্ল্যান কষে ফেললেন নরেন্দ্র মোদী? গ্রীস বড় কিছু দিতে পারে ভারতকে শুধু কূটনৈতিক বা কৌশলগত সুবিধা নয়। বাণিজ্যে বড় ছক্কা এবার তুরস্কের শত্রুকে দিয়েই। নমো কি চুক্তিটা স্বাক্ষর করে দিলেন ফাইনালি? চীনের আঁতে ঘা লাগতে পারে ঘুরপথে আদানি কেন গ্রীসের বিশেষ দুই বন্দর নিয়ে রিসার্চ করছে জোরকদমে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন চাবাহার পোর্টের বিকল্প চলে এসেছে দিল্লির হাতে। গ্রীসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদীর বৈঠকে ভারতের তরফ থেকে গ্রীসের একাধিক বন্দর অধিগ্রহণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। ইউরোপের গেটওয়ে বলা হয় গ্রীসকে আর সেখানেই ভারতের পণ্য ইউরোপে যাওয়ার ‘গেটওয়ে’ হয়ে উঠতে পারে গ্রীস। এবারের মোদীর সফরে সেদিকেই ছিল মূল ফোকাস। গ্রীসের শিল্পমহলকে ভারতের বিশাল বাজারের সুযোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বলে খবর। গ্রীসের বন্দরগুলিকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে ভারতের পণ্য ইউরোপের বাজারে পৌঁছতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভারত এই নিয়ে এখনই বিশেষ খোলসা না করলেও গ্রীসের সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে গ্রীস কী ভাবে ভারতের কাছে ইউরোপে পণ্য পরিবহণের ‘ট্রানজ়িট হাব’ হয়ে উঠতে পারে সে দিকে এবার নমোর বিশেষ নজর ছিল। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন ভারতীয় মিডিয়ার দাবি আদানি গোষ্ঠীর প্রাথমিক ভাবে গ্রীসের দু’টি বন্দরের দিকে নজর রয়েছে। প্রথমটি কাভালা, দ্বিতীয়টি ভলোস। আলেকজান্দ্রোউপলি নামে অন্য একটি বন্দরের দিকেও আদানি গোষ্ঠী ঝুঁকছে। বলা হচ্ছে এই বন্দরগুলি ভারতের হাতে এলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বা আদানিদের মালিকানাধীন ইজরায়েলের হাফিয়া বন্দরের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য সহজে ইউরোপের বাজারে পৌঁছতে পারবে, তবে আদানি গ্রীসের বন্দরে বিনিয়োগ করলে দেশের অন্দরে বিরোধীরা যে বিতর্কের ঝড় তুলবে সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।
শুধু তাই নয় এথেন্সের কাছে পাইরাস বন্দর কাজে লাগানো নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে কিন্তু সেই বন্দরের নিয়ন্ত্রণ চীনা সংস্থার হাতে ভারত কী এক্ষেত্রে চীনের অধিকার খর্ব করতে পারবে। ইরানের চাবাহার পোর্ট ব্যবহার করে ইউরোপে ঢোকা এক্ষেত্রে আমেরিকার বহু নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল রয়েছে তাই হয়ত ভারত গ্রীসের দিকে এবার একটু বেশি ঝুঁকছে। এবার গ্রীসে সেখানকার বণিক মহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মোদী ফলাফল কী বেরিয়ে এসেছে তার ওপর ওপর খবর হয়েছে কিন্তু গভীরের খবর নিয়ে এখনই যে সরকার মুখ খুলতে চাইছে না তা স্পষ্ট। ভারতের সঙ্গে গত আট বছরে কয়েকগুণ বাণিজ্য বেড়েছে এথেন্সের। এবার দেখার ভারত গ্রীসের বন্দর নিয়ে সে ব্লুপ্রিন্ট রেডি করেছে সেটার বাস্তবে কবে রূপায়িত হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়