কয়েক সপ্তাহ ধরেই শোনা যাচ্ছিল, প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা এবং পুত্র রোহন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। শোনা যায়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাক্ষাৎ করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে। সেই মতোই জল্পনা ছড়ায়, চৌরঙ্গি থেকে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কোনো এক জনকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি।
দিল্লি থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে বিজেপির। সেখানে চৌরঙ্গীতে দলের মুখ করা হয়েছে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে)। এদিকে তালিকায় নাম শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সোমেন-জায়া। জানিয়ে দিলেন, এ ঘোষণার কোনও বাস্তব ভিত্তিই নেই। তাঁর সঙ্গে কোনওরকম কথা না বলেই নাম ঘোষণা করা হয়েছে, দাবি শিখার।
অন্যদিকে, কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে লড়বেন না তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক মালা সাহার স্বামী তরুণ। বৃহস্পতিবার চার দফার ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। এর পরই ভোটে না লড়ার কথা জানিয়ে দিলেন তরুণ।
বৃহস্পতিবার ১৪৮টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি । নয়া প্রার্থীদের নাম সামনে আসতেই দলের প্রতি ক্ষোভ, অসন্তোষের আগুন। কোথাও রাস্তা অবরোধ, কোথাও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আবার কোথাও দলীয় দফতরের সামনে ধরনা। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, বিভিন্ন জায়গায় এদিন সন্ধ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে সেই ছবি। জলপাইগুড়ি সদরের প্রার্থী বদলের দাবিতে জেলার কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। রাস্তায় আগুন ধরিয়ে স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফ নামাতে হয়
প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর। রাগে জলপাইগুড়ির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীদেরই একাংশ। আগুন ধরিয়ে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছন ডিএসপি সমীর পাল। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের দাবি, টাকার বিনিময়ে জলপাইগুড়ি বিধানসভা আসন তৃণমূলের হাতে তুলে দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।