তাঁদের ঘনিষ্ঠতা রাজনৈতিক মহলে সুবিদিত। তাই প্রত্যাশা মতোই বাংলার নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে আসছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও। সূত্রের খবর আগামী ১ এপ্রিল রাজ্যে পা রাখবেন শরদ পাওয়ার। থাকবেন ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এই ৭২ ঘন্টার বেশির ভাগটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে সময় দেবেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জনসভায় অথবা রাস্তায় পা মেলাতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
দিন কয়েক আগেই শরদ পাওয়ার মন্তব্য করেছিলেন, তিনি নিশ্চিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসছেন। শুধু শরদ পাওয়ারই নন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে একে বহু জাতীয় স্তরের নেতারাই সমর্থন পেয়েছেন। প্রথমে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতার কথা থাকলেও শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়েছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে পেয়েছেন অখিলেশ যাদবকেও। নিকট ভবিষ্যতে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রচারে গেলে অবাক হওয়ার মত বিষয় থাকবে না। কেউ কেউ আরও এক পা এগিয়ে ভাবছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্বাচন জিতলে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরির আশাও দেখছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত আজই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ইস্তেহার প্রকাশ হবে। জঙ্গলমহল থেকে ফিরে তৃণমূল ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় প্রচারপত্র প্রকাশ করবেন। কাল থেকে এই ইস্তেহার নিয়ে জোর কদমে প্রচারে নামছে তৃণমূল। এই অবস্থায় শরদ পাওয়ারয়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে পাশে পাওয়া অ্যাডভান্টেজ বলেই মনে করছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত শরদ পাওয়ার মমতার প্রচারে আসতে চলেছেন এমন খবর বাজারে চাউর হওয়ার সাথে সাথেই সক্রিয় হয়ে ওঠে কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য শরদ পাওয়ারকে ই-মেলে চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে না আসতে অনুরোধ করেন। তাঁর যুক্তি বিহার এবং মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস আরজেডি এনসিপির মতো দলগুলির সঙ্গে জোটে রয়েছে। শরদ পাওয়ারের অবস্থানের কারণেই ভুল বার্তা যেতে পারে শরিকগলগুলির মধ্যে। যদিও তাতে পাওয়ারকে এ যাত্রা আটকানো যাবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।