কলকাতা: মাঠে খেলা হচ্ছে অথচ মাঠের বাইরে রয়েছে ফুটবল প্রেমীরা। কারণ টিকিটের কালোবাজারি। এরকমই অভিযোগ ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকির।
গত রবিবার কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের হাই ভোল্টেজ ডার্বি হয়েছিল। প্রথম থেকেই টিকিটের ব্যাপক চাহিদা ছিল। সেই ম্যাচেই নাকি টিকিট পাওয়া যায়নি। নওসাদ জানিয়েছেন, “টিকিটের কালোবাজারি তো হয়েইছে। ডার্বি বলুন বা ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ম্যাচই বলুন। যারা এই দুই দলের সদস্য যারা নিয়মিত মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে যায় তাঁদের টিমকে উৎসাহ দিতে যায় দুঃখের বিষয় ডুরান্ড কাপের ফাইনালে তারা সবাই উপস্থিত হতে পারেননি। তার কারণ টিকিট নিয়ে কালোবাজারি। ফলে যারা ওই ফাইনাল হচ্ছে চলো দেখতে যাই তাঁরা একশো টাকার টিকিট হাজার টাকা আটশো টাকায় কিনে নিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় যারা নিয়মিত মাঠে যায় তাঁদের দল ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান কে উৎসাহিত করতে। তাঁরা টিকিট পেল না।
কালোবাজারি রোধ করতে রাজ্য প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে আর যারা অর্গানাইজিং অথোরিটি আছে। তাদেরকেও সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।” খেলার দিনও নিজের ফেসবুকে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন এই খেলোয়াড়। সেখানে তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। মাথা বলছে মোহনবাগান জিতবে, হৃদয় বলছে ইস্টবেঙ্গল জিতবে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান এই দুই দলের খেলোয়াড় কোচ, সমর্থকদের আমার তরফ থেকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইল।
বাংলার বড় প্রাপ্তি এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যেই জিতুক না কেন ডুরান্ড কাপ বাংলা পাচ্ছে । আমি আশা করব এবং আশা রাখি ৯০ মিনিটের সৌজন্যতা মাঠের ভিতর এবং মাঠের বাইরে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে বজায় থাকবে। ডুরান্ড ফাইনালে টিকিট নিয়ে যেভাবে কালোবাজারি হল আমি ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবে ব্যথিত। আমি আশা করব আগামী দিনে টিকিট নিয়ে এই ধরনের কোনো কালোবাজারি হবে না, সে ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং টুর্নামেন্ট অর্গানাইজিং কমিটি যারা থাকবেন তারা সজাগ থাকবেন।”
একটা সময় নিজে চুটিয়ে খেলাধুলা করতেন। এখনো সময় পেলে করেন। তবে খেলা নিয়ে চর্চা বা খেলার খোঁজ খবর নিয়মিত রাখেন এই তরুণ বিধায়ক। ফুটবল নিয়ে বাড়তি উৎসাহও তো আছেই। তবে টিকিটের আকালে ফুটবল প্রেমীদের মাঠে যেতে না পারায় ক্ষুব্ধ আইএসএফ চেয়ারম্যান
UJJAL ROY
Tags: East Bengal, Mohun Bagan, Naushad Siddiqui